এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২২ জুন, ২০২৩, ০১:০৬ পিএম
আটলান্টিকের তলদেশে নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে আবারো শব্দ
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে সাবমেরিন নিখোঁজ হওয়া এলাকায় পানির তলদেশে থেকে আবারো এক ধরনের শব্দ শোনা গেছে। এ অবস্থায় সাবমেরিনটিকে শনাক্ত করতে চলমান তল্লাশি অভিযানের আওতা আরো বাড়ানো হচ্ছে। বুধবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কোস্টগার্ডের ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডরিক বলেছেন, তল্লাশি অভিযানে শিগগিরই আরো জাহাজ এবং রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল (গভীর সাগরে অনুসন্ধান করার যন্ত্র) যুক্ত করা হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার অনুসন্ধানের তৃতীয় দিনে কানাডীয় বিমান সাবমেরিক নিখোঁজ হওয়া এলাকায় পানির তলদেশে এক ধরনের শব্দ শনাক্ত করে। পরে তা যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডকে জানানো হয়।
সাবমেরিনটিতে যে পরিমাণ অক্সিজেন মজুত থাকে, তা দিয়ে ৯৬ ঘণ্টা পানির নিচে টিকে থাকা যায়। সে অনুযায়ী, সাবমেরিনটি যদি এখন পর্যন্ত অক্ষত থাকে, তাহলে এর যাত্রীরা বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ পাবেন। ফ্রেডরিক বলেন, যাত্রীদের বেঁচে থাকার ক্ষীণ আশা থাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আটলান্টিকের তলদেশের শব্দ কি নিখোঁজ সাবমেরিনের
গত রোববার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে রওনা দিয়ে নিখোঁজ হয় সাবমেরিন ‘টাইটান’। যাত্রার ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মাথায় ছোট সাবমেরিনটির সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের নিয়ন্ত্রণকক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে এটির সাধারণত দুই ঘণ্টা সময় লাগে। টাইটান সাবমেরিনটি ২১ ফুট দীর্ঘ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাবমেরিন সরবরাহকারী কোম্পানি ওশানগেট এটি পরিচালনা করে থাকে।
সাবমেরিনটিতে থাকা পাঁচ যাত্রীর পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- হ্যামিশ হার্ডিং, শাহজাদা দাউদ, সুলেমান দাউদ, পল হেনরি নিরজিওলেট ও স্টকটন রাশ।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি