ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

সাগরে নিখোঁজ টাইটান ছিল সনদহীন ও ত্রুটিপূর্ণ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ২৩ জুন, ২০২৩, ০৪:০৬ পিএম

সাগরে নিখোঁজ টাইটান ছিল সনদহীন ও ত্রুটিপূর্ণ

সাগরে নিখোঁজ টাইটান ছিল সনদহীন ও ত্রুটিপূর্ণ

বিশেষজ্ঞদের মতামত দিয়ে বিসিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইটান ‘অনিয়ন্ত্রিত’ আন্তর্জাতিক জলসীমায় কাজ করছিল। নিউফাউনল্যান্ড ভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশানগেট পর্যটকদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ পেলেও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে মোটেও ভাবেনি । পর্যটকদের নিয়ে সাগরে নিখোঁজ হওয়ার পর ডুবোজাহাজটির নানা ত্রুটির কথা সামনে আসছে। সাগরের অতলে ডুব দেয়া ডুবোযানটির কোনো সনদ ছিল না।

বিবিসি জানায়, সাগরের গভীরে ডুব দিতে হলে যেকোনো সাবমেরিন কিংবা ছোট সাবমারসিবলের বিভিন্ন পরীক্ষা দিতে হয়। সেগুলো পাসের পর দেয়া হয় নিরাপত্তা সার্টিফিকেট। ২০১৯ সালে টাইটানের সনদ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কোন সদুত্তর দেয়নি ওশানগেট। উল্টো চালিয়ে গেছে সব কার্যক্রম।

সাগরের ৪ হাজার মিটার গভীরতায় ডুব দেয়ার সক্ষমতা আছে বিশ্বের মাত্র ১০টি সাবমারসিবলের। টাইটান তাদের মধ্যে একটি। টাইটানের সাগরে ডুব দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আগের অভিযানের পর্যটকরাও। মেক্সিকান এক পর্যটক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, টাইটানের মতো ছোট ডুবোযানের সাগরের গভীরে যাওয়া বিপজ্জনক।

‘টাইটানিক’ চলচ্চিত্রের পরিচালক জেমস ক্যামেরন বলেছেন, আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে ‘টাইটান’ নিখোঁজের তথ্য জানার পরই তিনি সাবমেরিনটির পরিণতি বুঝতে পেরেছিলেন। হলিউডের এই নির্মাতা ছবিটি নির্মাণের সময় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ৩৩ বার আটলান্টিকের তলদেশে গিয়েছিলেন। 

ক্যামেরন বিবিসিকে বলেন, ডুবোযানটির ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা, যোগাযোগব্যবস্থা ও ট্র্যাকিং ট্রান্সপন্ডার একই সঙ্গে নিষ্ক্রিয় হয়েছে। এসব জেনে তিনি বুঝতে পেরেছেন, সাবমেরিনটি শেষ। কেননা, একটি চরম বিপর্যয় ছাড়া একত্রে এগুলো নিষ্ক্রিয় হয় না। ঘটনাটি পর ক্যামেরনের মাথায় প্রথমেই আসে ‘বিস্ফোরণ’।

সাগরের নিচে যাওয়ার পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। নির্দিষ্ট সময় পরও যোগাযোগ সচল না হলে অভিযান বাতিল করতে হয়। এতো কিছুর পরও টাইটানে নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল না দাবি করে ওশানগেট। বরং টাইটানে গভীর সাগরে যাওয়া নিরাপদ বলেই প্রচারণা চালায় প্রতিষ্ঠানটি।

মার্কিন কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার জানান, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে টাইটান সাবমেরিনের বড় পাঁচটি টুকরা পাওয়া গেছে। 

মার্কিন নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, আটলান্টিকে টাইটানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপরই বিস্ফোরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দ শনাক্ত হওয়ার তথ্য নৌবাহিনী, যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডকে দ্রুত জানায়। তথ্য আগে কেন প্রকাশ্যে বলা হয়নি, তা স্পষ্ট নয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি