এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৫ জুন, ২০২৩, ১২:০৬ পিএম
মস্কোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ থেকে সরে এলো ওয়াগনার বাহিনী
সামরিক নেতৃবৃন্দকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে রাজধানী মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়া রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার বাহিনী সব ধরনের বিদ্রোহ থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে।
গ্রুপটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন শনিবার (২৪ জুন) নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক ভয়েস বার্তায় জানিয়েছেন, রাশিয়ার দিকে অগ্রসর হওয়া তিনি ও তার ওয়াগনার গ্রুপ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের সেনাশিবিরে ফিরে যাচ্ছেন।
রাশিয়ার গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, বেলারুশের রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার লুকাসেঙ্কোর সঙ্গে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের আলোচনার পর গ্রুপটি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত জানায়।
এর আগে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রোস্তভ-অন-দন দখলের পর রাজধানী মস্কোর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ওয়াগনার বাহিনী। রুশ সেনারা তাদের গতিরোধ করতে চাইলেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তারা যখন মস্কো থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে, এমন মুহূর্তে তাদের পদযাত্রা স্থগিতের নির্দেশ দিলেন প্রিগোজিন।
তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে ক্ষমতাচ্যুত করার দাবিতে ক্রেমলিন রাজি হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে কিছু জানাননি প্রিগোজিন। এ বিষয়ে ক্রেমলিন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত শুক্রবার রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাত করার হুমকি দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। এরপর রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায় ওয়াগনার।
ওয়াগনারপ্রধানের এ বিদ্রোহের পর পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার ঘোষণা দেন তিনি। পুতিন বলেন, ‘যা কিছু ঘটছে, তা বিশ্বাসঘাতকতা। এটি দেশের জনগণের পিঠে ছুরি চালানোর শামিল।’
উল্লেখ্য, ওয়াগনার গ্রুপ রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী হিসেবে বিভিন্ন যুদ্ধ বা অভিযানে নিয়ে থাকে। বর্তমানে রুশ সেনাদের সহযোগী হিসেবে ইউক্রেনে ওয়াগনার গ্রুপের প্রায় ৫০ হাজার যোদ্ধা সক্রিয় রয়েছে।
ওয়াগনার গ্রুপের নেতা হচ্ছেন ইয়েভজেনি প্রিগোজিন– যিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন মিত্র। ওয়াগনার গ্রুপে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি থেকে শুরু করে ভাড়াটে খুনিরাও রয়েছে। তাছাড়া অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাও কাজ করেন।
যদিও ওয়াগনার গ্রুপকে বিভিন্ন দেশে সক্রিয় অপরাধী সংগঠন বলে ঘোষণা দিয়েছে। অতীতে এই ওয়াগনার গ্রুপ সিরিয়া, লিবিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রসহ বেশ কিছু দেশে তৎপর ছিল। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর দখলের লড়াইয়ে ওয়াগনার গ্রুপ বড় ভূমিকার পালন করছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি