এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৯ জুলাই, ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
ক্যাপিটল দাঙ্গার ঘটনা তদন্তে গ্রেপ্তার হওয়ার শঙ্কায় ট্রাম্প
বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের কাছ থেকে গত রোববার একটি চিঠি পাওয়ার পর এমন শঙ্কা প্রকাশ করলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির দাঙ্গা এবং ২০২০ সালের নির্বাচনী ফলকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টার ঘটনার ফেডারেল তদন্তে তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। সিএনএন
মঙ্গলবার ট্রাম্প নিজেই তার ট্রুথ স্যোশাল প্ল্যাটফর্মে জানান, চিঠিতে তাকে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় তিনি গ্র্যান্ড জুরির তদন্তের টার্গেট। এর মানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনতে কাজ করছেন কৌঁসুলিরা। তেমন হলে ট্রাম্প কেন্দ্রীয় সরকারের ফৌজদারি অভিযোগের মুখে পড়তে যাচ্ছেন এমন শঙ্কা স্পষ্ট।
চিঠিতে গ্র্যান্ড জুরির সামনে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মাত্র ৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। স্বল্প সময়ের এমন সমনের ক্ষেত্রে প্রায় সবসময়ই গ্রেপ্তার কিংবা অভিযোগ দাখিল হয়ে থাকে।
ট্রাম্পের আইনজীবী দল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমনে সাড়া দেয়নি। তাদের কাছে স্মিথের চিঠি অপ্রত্যাশিত ছিল। স্মিথ যে এ মাসেই এমন পদক্ষেপ নেবেন তা তারা ধারণা করেননি।
বিবিসি বলছে, ট্রাম্প গত শরতে আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেওয়ার পরই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বিশেষ কাউন্সেল স্মিথকে নিয়োগ দেন। স্মিথের টীমকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত পরিচালনার কাজ দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর গোপন দলিল বাড়িতে পাওয়ার বিষয়টি ছাড়াও ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনা এবং ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টাদের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার ঘটনাও।
গত বছর ৬ জানুয়ারিতে মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে যৌথ অধিবেশনে ডেমোক্রেট জো বাইডেনের নির্বাচনে জয়ের স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলার সময় রিপাবলিকান দলের তৎকালীন পরাজিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কট্টর সমর্থকরা ভবনটিতে হামলা চালায়। এতে পুলিশসহ অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছিলেন। দাঙ্গার ঘটনাকে ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন অনেক আমেরিকান রাজনীতিবিদ। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি