এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৯ জুলাই, ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
মার্কিন সাবমেরিন আসায় ক্ষুব্ধ ২টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল উ. কোরিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি সাবমেরিন ৪২ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়ার উপকুলে পেঁছেছে। সাবমেরিনটি আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার (১৯ জুন) সকালে দুটি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সামরিক বাহিনী একথা জানিয়েছে।
জাপানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র দু’টি জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের বাইরে পড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়ুনহাপ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া নিউক্লিয়ার কনসালটেটিভ গ্রুপের (এনসিজি) প্রথম বৈঠকে মিলিত হওয়ার পরই নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এনসিজির লক্ষ্য হলো, দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর যদি কোনো হুমকি আসলে, পারমাণবিক অস্ত্রসহ সব সামরিক শক্তি ব্যবহার করে দেশটিকে রক্ষা করা।
বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এনসিজির বৈঠকের দিনই দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বন্দর নগর বুসানে নোঙর করেছে পারমাণবিক সাবমেরিন ইউএসএস কেন্টাকি। ১৯৮১ সালের পর যা দক্ষিণের মাটিতে মার্কিনিদের প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন আসার ঘটনা। সাবমেরিন আসা ও এনসিজির বৈঠকটি যে উত্তর কোরিয়া ভালোভাবে নেয়নি, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তারা সেটিই বুঝিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে সিউলের ইয়ুহা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ের প্রফেসর লেইফ-এরিক এসলে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) অবিলম্বে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জেসিএসএর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার উস্কানিমূলক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাদের এ কার্যক্রম কোরিয়া উপদ্বীপ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে। এছাড়া এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রস্তাবেরও পরিপন্থি।’
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠে ৫৫০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যায়। দ্বিতীয়টি ৫০ কিলোমিটার উপরে ওঠে ৬০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যায়।’
এক সপ্তাহ আগে উত্তর কোরিয়া তাদের সর্বাধুনিক কঠিন জ্বালানির হোয়াসোং-১৮ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। পিয়ংইয়ং জানিয়েছিল, এটি যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের প্রতি একটি সতর্কতা।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি