নিলামে আইনস্টাইনের চিঠি, সূচনা মূল্য উঠেছে সোয়া লাখ ডলার

ধর্ম বিষয়ের শিক্ষিকা মার্থা মাঙ্ক বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, আধুনিক পদার্থবিদ্যার জনক কি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন? তিনি কি মনে করেন, ঈশ্বর বা কোনও সর্বোচ্চ শক্তি এই বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন? মার্থাকে উত্তর দিয়েছিলেন আইনস্টাইন। ওই চিঠির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের একদল ইহুদী শিক্ষার্র্থীদের উদ্দেশ্যে ১৯৫০ সালের ১১ এপ্রিল এ চিঠি লিখেন আইনস্টাইন।  তাঁর লেখা সেই চিঠি নিলামে তুলেছে আমেরিকান সই সংগ্রহকারী সংস্থা ‘দ্য র‌্যাব কালেকশন’। ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার থেকে নিলাম শুরু হবে। এরআগে এ বিজ্ঞানীর অন্য চিঠিগুলো নিলামে ৩০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।

মার্থা মাঙ্ক ছিলেন জার্মানির বিখ্যাত রাবাই মিশেল এ মাঙ্কের স্ত্রী। এত দিন মাঙ্কের এক উত্তরসূরির কাছে সযত্নে রাখা ছিল আইনস্টাইনের চিঠি। মার্থার প্রশ্নের জবাবে আইনস্টাইন লিখেছিলেন: ‘ধর্মগ্রন্থে লেখা কাহিনিগুলিকে যত দিন আক্ষরিক অর্থে নেওয়া হবে, সাধারণ মানুষ কী বিশ্বাস করবেন, সেটা প্রত্যাশিতই।’ আইনস্টাইন বলেন, ‘একজন বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি তাওরাতের সৃষ্টি কাহিনী বিশ্বাস করেন না কারণ বিজ্ঞান আদর্শকে পরিবর্তন ও অতিক্রম করে গেছে।’

তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘যদি আপনি ধর্মগ্রন্থকে প্রতীকি হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, তা হলে কিন্তু আর পরিষ্কার নয়, ঈশ্বরকে কোনও মানুষ হিসেবে কল্পনা করা হয়েছিল কি না।’ আইনস্টাইন লিখেছিলেন, ‘সে ক্ষেত্রে এটা বোঝা কঠিন, বিশ্বাসের আঁকড় কতটুকু পড়ে থাকে। আমি মনে করি, যে ব্যক্তি মোটামুটি বিজ্ঞানমনস্ক, তার কাছে মহাবিশ্বের সৃষ্টির পিছনের ধর্মের ব্যাখ্যা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। কারণ তিনি সব কিছুতেই বিজ্ঞানের যুক্তি খোঁজেন।’’

জার্মানিতে অ্যাডল্ফ হিটলার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৩৩ সালে আমেরিকায় পালিয়ে এসেছিলেন আইনস্টাইন। জার্মানি থেকে বেরিয়ে প্রথমে বেলজিয়ামে ছিলেন। তার পরে ছ’সপ্তাহ ব্রিটেনে থাকেন। শেষে আমেরিকায় চলে আসেন। এক দশক আমেরিকার নাগরিক ছিলেন আইনস্টাইন।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি