এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ৩০ জুলাই, ২০২৩, ০৯:০৭ পিএম
অ্যান্টার্কটিকার বরফের নীচে সন্ধান মিললো রহস্যময় পিরামিডের!
অ্যান্টার্কটিকায় নাকি একটি নতুন পিরামিড আবিষ্কৃত হয়েছে। সম্প্রতি, স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে দেখা গেছে বরফের মহাদেশে একটি রহস্যময় ত্রিভুজ কাঠামো, এটিকে বিশ্বের নতুন আশ্চর্য বলে অনেকে অভিহিত করেছেন। অনেকেই অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন অ্যান্টার্কটিকায় পিরামিড কোথায় থেকে আসবে? অ্যান্টার্কটিকার এলসওয়ার্থ পর্বতমালার দক্ষিণ অংশে তোলা ছবিতে বিশাল পিরামিড আকৃতির কাঠামো দেখা গেছে।
কিছু অদ্ভুত চেহারার শিখর, যেগুলো মাটি থেকে উঠে আসছে বলে মনে হয়। বর্গাকার ভিত্তির প্রতিটি দিকে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত পরিমাপ করে এটির সাথে মিশরের গিজার গ্রেট পিরামিডের মিল পাওয়া যায়।
এই সপ্তাহে ছবিগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে, অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদ নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন এই আবিষ্কার ঘিরে। একজন ব্যক্তি টুইট করেছেন, কিভাবে পিরামিডগুলি মিশর থেকে অ্যান্টার্কটিকায় স্থানান্তর হলো ?
ইলুমিনাতির মতো কোনো গোপন জাতি এই পিরামিড তৈরির পেছনে আছে বলে মনে করছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন এই কাঠামো মানবসৃষ্ট। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই কাঠামোটি প্রাচীন সভ্যতার অন্তর্গত যা বন্যার আগে বিদ্যমান ছিল। কারণ প্রায় ১০,০০০ বছর আগে অ্যান্টার্কটিকা উষ্ণ ছিল। কিন্তু ভূতাত্ত্বিক ডক্টর মিচ ডার্সির মতে, এটি আসলে একটি পাহাড়।
পিরামিড-আকৃতির কাঠামোগুলো এলসওয়ার্থ পর্বতমালায় অবস্থিত, যেটি ৪০০ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা একটি পরিসর, তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, বরফের উপরে পাথুরে চূড়াগুলো তৈরি হয়েছে।
শিখরগুলো স্পষ্টভাবে শিলা দ্বারা গঠিত। এগুলোকে আসলে ‘নুনাটক’ বলা হয়, যা হিমবাহ বা বরফের উপরে আটকে থাকা শিলার চূড়া । এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় যে, এই নির্দিষ্ট চূড়াটির আকৃতির সাথে পিরামিডের মিল রয়েছে। পাশাপাশি এটি কোনোভাবেই মানবসৃষ্ট নয়। এলসওয়ার্থ পর্বতমালা হলো অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ পর্বতমালা, যা মেরি বাইর্ড ল্যান্ডের রনে আইস শেল্ফের পশ্চিম প্রান্তে উত্তর থেকে দক্ষিণ ৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৪৮ কিলোমিটার প্রশস্ত। এগুলো চিলির অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে অবস্থিত এবং ১৯৩৫ সালে লিঙ্কন এলসওয়ার্থ ডান্ডি দ্বীপ থেকে রস আইস শেল্ফ পর্যন্ত একটি ট্রান্স-অ্যান্টার্কটিক ফ্লাইটে যাত্রার সময় এটি আবিষ্কার করেছিলেন। এলসওয়ার্থ পর্বতমালার তাপমাত্রা গড়ে -৩০সেন্টিগ্রেডের কাছাকাছি থাকে। এখানে অভিযানের জন্য সেরা সময় নভেম্বর থেকে জানুয়ারি। সূত্র: এশিয়া নেট নিউজ বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি