এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট, ২০২৩, ০৪:০৮ পিএম
ক্রিমিয়ার কাছে রাশিয়ার ট্যাংকারে ইউক্রেনের নৌ ড্রোন হামলা
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেতুর থেকে কয়েক নটিকাল মাইল দক্ষিণে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার একটি তেল ট্যাংকারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাস জানায়, কের্চ প্রণালীতে এ হামলায় ট্যাংকারটির ইঞ্জিন রুমের ক্ষতি হয়েছে। তবে এতে নাবিকদের কেউ হতাহত হয়নি।
কয়েকজন রাশিয়ার সামরিক ব্লগার বলেছে, এটি ছিল রাশিয়ার তেল ট্যাংকার। ইউক্রেনের নৌ ড্রোনের সাহায্যে এ হামলা চালায়। হামলার স্থান ক্রিমিয়া সেতু থেকে বেশি দুরে নয়। কাছাকাছি উপকুলীয় গ্রামগুলোর বাসিন্দারা জানান, তারা বিস্ফোরণের প্রচন্ড শব্দ শুণতে পেয়েছে। ইউক্রেন অবশ্য এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি।
নৌ ড্রোন বা সমুদ্র ড্রোন আকারে ছোট। মনুষ্যবিহীন এ ড্রোন পানির উপরে বা নীচে দিয়ে ছুটে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এঘটনার পর তেল ট্যাংকারটিকে টেনে আনার জন্য রাশিয়ার সামুদ্রিক উদ্ধার ইউনিটগুলো কাজ শুরু করে শনিবার।
রাশিয়ার সামুদ্রিক উদ্ধার সমন্বয় কেন্দ্রের(এমআরসিসি) উদ্ধৃতি দিয়ে তাস জানায়, দুইটি টাগ বোট তেল ট্যাংকারটির কাছে পৌঁছেছে। এমআরসিসি ট্যাংকার ও এর মালিকদের সম্পর্কে কোন কিছু জানায়নি।
কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগরকে সংযুক্তকারী কের্চ প্রণালী ক্রিমিয়া উপদ্বপিকে বিচ্ছিন্ন করেছে। রাশিয়া ইউক্রেনের এ উপদ্বীপকে দখল করার পর নিজের সঙ্গে সংযুক্ত করে নিয়েছে।
রাশিয়ার সরকারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হামলা আসন্ন সতর্ক করার পর ক্রিমিয়া সেতুর আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় এবং যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ হামলার বিষয়টি সঠিক হলে এটি হবে সর্বশেষ ইউক্রেনের ড্রোন হামলার ঘটনা। গত শুক্রবার কৃষ্ণ সাগরের নভোরোসিয়াক বন্দরে ইউক্রেনের নৌ ড্রোন হামলায় রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজের ক্ষতি হয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইউক্রেনের দুইটি নৌ ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে। এতে কোন ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেনি মস্কো।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি