এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট, ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম
মধ্যপ্রাচ্যে ৩ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন, শক্তি বৃদ্ধি করছে ইরান
মার্কিন নৌবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড ঘোষণা করেছে যে, কৌশলগত হরমুজ প্রণালী এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তারা মধ্যপ্রাচ্যে তিন হাজারের বেশি নৌ এবং মেরিন সেনা মোতায়েন করেছে।
এই ঘোষণার পর আইআরজিসি’র মুখপাত্র জেনারেল রামেজান শরীফ বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে জাহাজ আটকসহ যেকোনো ধরনের মার্কিন অপকর্মের জবাব দেবে ইরান। তিনি বলেন, ইরান ক্ষমতার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যার সাহায্যে জাহাজ আটকসহ আমেরিকার যেকোন অপকর্মের জবাব দেয়া ইরানের পক্ষে সম্ভব।
এদিকে ইয়েমেনের জাতীয় স্যালভেশন সরকারের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আল আজিজি আমেরিকার উদ্দেশে বলেছেন, আমাদের পানি সীমার ধারে কাছেও আসবে না। এমনটা করলে যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে।
ইয়েমেনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সামরিক বিশেষজ্ঞ আব্দুল গনি আল জুবাইদি, আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, ইয়েমেনের কাছে নয়া ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে এবং তারা নিজের পানি সীমা ও দ্বীপগুলোর যেকোনো পয়েন্টে শত্রুর অবস্থানে হামলা চালাতে পারবে।
মার্কিন নৌবাহিনীর ফিফথ ফ্লিটের মুখপাত্র কমান্ডার টিম হকিন্স দি হিলকে বলেন আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে অস্থিতিশীল কার্যকলাপ রোধ করতে এবং এই বছরের শুরুতে ইরানের হয়রানি এবং বাণিজ্যিক জাহাজ জব্দ করার কারণে আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে সেখানে অতিরিক্ত সেনা কাজ করবে।
গত মধ্য জুলাই যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে এফ-৩৫ ও এফ-১৬ বিমান মোতায়েনের ঘোষণা দেয়। পেন্টাগনও মধ্যপ্রাচ্যে আরো অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর কথা জানায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, গত দুই বছরে ইরান অন্তত ২০টি বিদেশি জাহাজ আটক কিংবা আটকের চেষ্টা করেছে। কিন্তু ইরানের আইআরজিসি’র নৌ শাখা গত কয়েক বছরে ইরানি এবং বিদেশি কয়েকটি তেলবাহী জাহাজের ওপর জলদস্যু কিংবা শত্রুদের হামলা নস্যাতের দাবি করেছে। এছাড়া, চোরাচালান হওয়া অন্তত ৫ কোটি লিটার জ্বালানি তেল আটক করেছে।
ইরান বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের অর্থই হচ্ছে- পারস্য উপসাগর এবং এর আশপাশের এলাকার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা এবং এতে এ অঞ্চলে মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হবে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি