এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৯ আগস্ট, ২০২৩, ০২:০৮ পিএম
অভ্যুত্থান উত্তর নাইজার, স্বাধীনতাকে স্যালুট জানাল দেশবাসী
ভ্যুত্থানের নেতারা সংবিধান স্থগিত ও বিক্ষোভ সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে এবং প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ বাজোমের কয়েকজন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তারা গণগ্রেপ্তার করেনি।
দুই সপ্তাহ আগে দেশটিতে অভ্যুত্থান আন্তর্জাতিক শোরগোলের সৃষ্টি হয়েছে। আভ্যন্তরীণ স্বাধীনতা খর্ব করার পরও রাজধানী মিয়ামির অধিকাংশ মানুষ স্বাধীন সুবাতাস উপভোগ করছেন। র্বোবার মিয়ামির স্টেডিয়ামে সমবেত হয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ ২৬ জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। এভাবে ইকোয়াসের হস্তক্ষেপের হুমকির বিরুদ্ধে সেনাদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে।
মিয়ামির একজন ম্যাকানিক কুসেইনি তিন্নি। তিনি বলেন, ‘এটি হল স্বাধীনতা। কয়েক দশক পর আমরা নিজেদেরকে মুক্ত মনে করছি।’ সামাইল আব্দর রহীম বলেন, ‘বাজোমের ক্ষমতাসীন দল পিএনডিএসএর দুই দশকের শাসন ছিল লজ্জার। আমি সৈন্যদের প্রতি শতকরা ১০০ ভাগ সমর্থন ঘোষণা করছি।’
বিরোধী দলীয় নেতা হামা আমাদুকে শিশু পাচারের অভিযোগে এক বছরের জেল দেওয়া হয। ফলে তিনি ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি। বাজেমের জয়ের পর মিয়ামিতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে ২ জন নিহত ও ৪৬৪ জন গ্রেপ্তার হয়।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর কেন ওপালো বলেন, ২০২০ সালে মালির এবং ২০২২ সালে বার্কিনা ফাসোর অভ্যত্থানের সঙ্গে নাইজারের অভ্যুত্থানের মিল রয়েছে। পশ্চিমারা অঞ্চলটির প্রাকৃতিক সম্পদ লুন্ঠন, ভূরাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও অভিবাসীদের যাওয়ার পথ বন্ধ করা এবং সাহেলে জিহাদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মাধ্যমে নিজেদের নগরগুলোকে নিরাপদ রাখার যে চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এ সব অভ্যুত্থানে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি