ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

লিবিয়ার রাজধানীতে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৬ আগস্ট, ২০২৩, ০১:০৮ পিএম

লিবিয়ার রাজধানীতে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান

লিবিয়ার রাজধানীতে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান

 উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে একটি সশস্ত্র উপদলের প্রভাবশালী কমান্ডার প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর সেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। আটক কমান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার পর অবশ ত্রিপোলির পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দু’টি শক্তিশালী সশস্ত্র উপদলের মধ্যে মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই সংঘাত ছিল চলতি বছর দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা। 

ত্রিপোলির একটি স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সহিংসতায় ২৭ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। তবে হতাহতের এই সংখ্যায় যোদ্ধা এবং বেসামরিক নাগরিক; উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন কিনা তা উল্লেখ করা হয়নি।

প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনীর হাতে আটক হওয়া ওই সেনা কমান্ডারের নাম মাহমুদ হামজা। তিনি ৪৪৪ ব্রিগেডের প্রধান এবং এই ব্রিগেডটি ত্রিপোলির বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। স্থানীয় মিডিয়া এবং ৪৪৪ ব্রিগেডের একটি সূত্রের বরাত খবরে বলা হয়েছে, মাহমুদ হামজাকে সোমবার মিটিগা বিমানবন্দরে আটক করে স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্স নামে একটি বাহিনী।

স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্স বছরের পর বছর ধরে ত্রিপোলির অন্যতম প্রধান সশস্ত্র দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। এছাড়া মিটিগা বিমানবন্দর এবং আশপাশের উপকূলীয় এলাকা এই দলটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অন্যদিকে ৪৪৪ ব্রিগেড রাজধানী শহরসহ এবং ত্রিপোলির দক্ষিণে বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। হামজা মাহমুদ বর্তমানে ৪৪৪ ব্রিগেডের কমান্ডার হলেও অতীতে তিনি স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্সের অফিসার ছিলেন। এর আগে অন্যান্য সশস্ত্র উপদলের মধ্যে উত্তেজনা অবসানের মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বও ছিলেন তিনি।

২০১১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থনপুষ্ট  অভ্যুত্থানে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি উৎখাত ও হত্যা করা হয়। মূলত গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে চরম রাজনৈতিক সংকট চলছে।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি