ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

‘ইউক্রেনে প্রতিদিন বাড়ছে লাশের সারি’


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৯ আগস্ট, ২০২৩, ০৩:০৮ পিএম

‘ইউক্রেনে প্রতিদিন বাড়ছে লাশের সারি’

 ‘ইউক্রেনে প্রতিদিন বাড়ছে লাশের সারি’

 ইউক্রেনের মৃতের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অজ্ঞাতনামা মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একথা বলা হয়েছে।

বিবিসির সংবাদদাতা কুয়েন্টিন সোমারভিলি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের রণাঙ্গনে অবস্থান করছেন। মরদেহ গণনা করা সেখানকার  দৈনিন্দন কাজের অংশে পরিণত হয়।

অজ্ঞাতনামা সৈনিকদের মরদেহগুলো সেখানকার ছোট ইটের  তৈরি মর্গে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। স্থানটি ডনেৎস্ক থেকে যে অনেক দূরে অবস্থিত তা নয়। ২৬ বছর বয়েসি তরুণী মারগো মৃতের ব্যাপারে বলেন, এটি রহস্যজনক মনে হতে পারে। আমি এসব মৃত্যুর শিকার ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। জীবনোৎসর্গকারীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমার কথা শুনতে পেলে ভাল হতো। কিন্তু তারা তো তা কখনো শুনতে পাবে না।’

তার কাজ হল মৃতদের বিভিন্ন তথ্য রেকর্ড করা। কিন্তু ইউক্রেনে কখনো সরকারীভাবে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয় না। তবে মার্গো জানেন মৃতের প্রকৃত সংখ্যা, যা অনেক বড়।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ইউক্রেনের পক্ষে ৭০ হাজার নিহত ও ১ লাখ ২০ হাজার আহত হয়েছে। ৫ লাখ সদস্যের সেনাবাহিনীর জন্য এ হতাহতের সংখ্যা মারাত্মক ঘটনা।

মারগোর জন্য সবচেয়ে কঠিন দিন ছিল সেইদিন যেদিন তার স্বামীর মরদেহ মর্গে আনা হয়। ২৩ বর্ছ বয়েসি আন্ড্রে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর মাতৃভূমি রক্ষার লড়াইয়ে নিহত হন। তিনি বলেন, তিনি কখনো প্রকাশ্যে কাঁদতে পারেন না। রাতে সবার অলক্ষ্যে তিনি চোখের পানি ফেলেন।

পেন্টাগন জানায়, ইউক্রেনের প্রাণহানির সংখ্যা সাড়ে ১৭ হাজারের মতো। কিন্তু পাল্টা হামলার পর তা হঠাৎ বেড়ে ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

একটি সমাধিস্থলে স্বামীর সমাধির কাছে একাকী কাঁদছিলেন ওকসানা (৩১)। হাতে স্বামী পাভলোর ছবি। নভেম্বরে ইজিমে ইউক্রেনের পাল্টা হামলার সময় তিনি নিহত হন।

রাশিয়ার পক্ষে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি। তাদের এক লাখ ২০ হাজার নিহত হয়েছে। কিন্তু দেশটির জনসংখ্যা ও সেনা সংখ্যা ইউক্রেনের চেয়ে অনেক অনেক বড়। তাই দুর্ভোগও অনেক কম। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি