এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট, ২০২৩, ০২:০৮ পিএম
জার্মানিতে বাড়ছে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব
একটা সময় ছিল যখন জার্মান রাজনীতিবিদেরা ইংরেজি বলতে চাইতেন না। কিন্তু এখন, বহু শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের ইংরেজি জ্ঞান দেখাতে ছাড়ছেন না। তবে এটা তাদের নাড়ির টান নয়।
সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবককে দেখা গেছে ইংরেজিতে কথা বলতে। দেখা গেছে অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকেও ব্লুমবার্গ টিভিতে জার্মান অর্থনীতি বিষয়ে ইংরেজিতে তর্ক করতে।
এর আগে, সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে প্রায় কখনোই দেখা যায়নি ইংরেজি বলতে। তা সে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েই হোক বা ২০১৯ সালে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও। কিন্তু বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ তা না করে একই চ্যানেলে নিজের বক্তব্য ইংরেজিতেই রাখেন। তবে এক সময় যে সাবেক জার্মান মন্ত্রী গুইডো ভেস্টারওয়েলে ইংরেজির বিরোধিতা করতেন, তার দল এফডিপিই বর্তমানে জার্মানিতে ইংরেজির ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষে।
জার্মান অর্থনীতি রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল ও এখানে বিশ্বের বড় বড় সংস্থার কার্যালয় রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজি এখানে বাণিজ্যের ভাষা। আগস্ট মাসে জার্মান মন্ত্রিসভা একটি বিল পাস করে, যার মাধ্যমে বাণিজ্য আদালতের এক্তিয়ারকে বাড়ানো হয় ও ইংরেজি ভাষায় তার কাজ চালানোর ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই বিলের লক্ষ্য, জার্মানিকে বিচারব্যবস্থা ও অর্থনীতির দিক দিয়ে বিশ্বের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা, বলেন সরকারের মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান হফমান। কিন্তু বদল আসতে সময় লাগবে, জানান বাণিজ্য বিষয়ক আইনজীবী মিশায়েল ভাইগেল। এই ধরনের বদলকে বাস্তবায়ন করতে বিনিয়োগ দরকার, দরকার সময়।
২০০৫ সাল থেকে জার্মানির সব প্রাথমিক স্কুলেই ইংরেজি পড়ানো হয়, শুধু ফরাসি সীমান্তের নিকটবর্তী অঞ্চল ছাড়া। উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি প্রোগ্রামগুলির দশ শতাংশই ইংরেজিতে পড়ানো হয়। ইংরেজির ব্যবহার কম হবার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই বিদেশিরা পছন্দ করেন না জার্মানিতে দীর্ঘ দিন থাকতে, বলছে ইন্টারনেশনসের সমীক্ষা। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি
জার্মানিতে বাড়ছে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব
একটা সময় ছিল যখন জার্মান রাজনীতিবিদেরা ইংরেজি বলতে চাইতেন না। কিন্তু এখন, বহু শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের ইংরেজি জ্ঞান দেখাতে ছাড়ছেন না। তবে এটা তাদের নাড়ির টান নয়।
সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবককে দেখা গেছে ইংরেজিতে কথা বলতে। দেখা গেছে অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকেও ব্লুমবার্গ টিভিতে জার্মান অর্থনীতি বিষয়ে ইংরেজিতে তর্ক করতে।
এর আগে, সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে প্রায় কখনোই দেখা যায়নি ইংরেজি বলতে। তা সে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েই হোক বা ২০১৯ সালে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও। কিন্তু বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ তা না করে একই চ্যানেলে নিজের বক্তব্য ইংরেজিতেই রাখেন। তবে এক সময় যে সাবেক জার্মান মন্ত্রী গুইডো ভেস্টারওয়েলে ইংরেজির বিরোধিতা করতেন, তার দল এফডিপিই বর্তমানে জার্মানিতে ইংরেজির ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষে।
জার্মান অর্থনীতি রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল ও এখানে বিশ্বের বড় বড় সংস্থার কার্যালয় রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজি এখানে বাণিজ্যের ভাষা। আগস্ট মাসে জার্মান মন্ত্রিসভা একটি বিল পাস করে, যার মাধ্যমে বাণিজ্য আদালতের এক্তিয়ারকে বাড়ানো হয় ও ইংরেজি ভাষায় তার কাজ চালানোর ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই বিলের লক্ষ্য, জার্মানিকে বিচারব্যবস্থা ও অর্থনীতির দিক দিয়ে বিশ্বের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা, বলেন সরকারের মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান হফমান। কিন্তু বদল আসতে সময় লাগবে, জানান বাণিজ্য বিষয়ক আইনজীবী মিশায়েল ভাইগেল। এই ধরনের বদলকে বাস্তবায়ন করতে বিনিয়োগ দরকার, দরকার সময়।
২০০৫ সাল থেকে জার্মানির সব প্রাথমিক স্কুলেই ইংরেজি পড়ানো হয়, শুধু ফরাসি সীমান্তের নিকটবর্তী অঞ্চল ছাড়া। উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি প্রোগ্রামগুলির দশ শতাংশই ইংরেজিতে পড়ানো হয়। ইংরেজির ব্যবহার কম হবার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই বিদেশিরা পছন্দ করেন না জার্মানিতে দীর্ঘ দিন থাকতে, বলছে ইন্টারনেশনসের সমীক্ষা। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি