এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম
সুইডেন-ডেনমার্কে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় এবার জাতিসংঘ মানবাধিকার
নিন্দা জানিয়েছেন মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। সোমবার তিনি বিশ্বব্যাপী মানুষের মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫৪তম অধিবেশনের উদ্বোধনকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৬ অক্টোবর বিশ্বসংস্থাটির মানবাধিকার পরিষদে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। ডেনমার্ক ও সুইডেনে কুরআনের পৃষ্ঠা পোড়ানোর প্রতিবাদে গত জুলাই মাসে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ হয়েছিল। সেখানে কয়েকজন কুরআনের কপি পোড়ান ও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে মুসলিম দেশগুলোতে চরম বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা ইউরোপীয় ওইসব দেশের সরকারগুলোকে কুরআন পোড়ানো বন্ধ করার দাবি করেছিল।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয় নিয়েও আলোচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় বিদ্বেষ যা বৈষম্য, জেনোফোবিয়া এবং অসহিষ্ণুতা সম্পর্কিত অন্যান্য ধরনের মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলো।
গত ৩০ জুলাই ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্জ লোক্কা রাসমুসেন জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সামনে যেন পবিত্র কুরআন পোড়ানো না হয় সেজন্য আইন করবে দেশটির সরকার। কুরআন পোড়ানো বন্ধ করতে তারা একটি আইনি উপায় খুঁজছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু উগ্র ব্যক্তি কুরআন পুড়িয়েছে, যা ডেনমার্কের সামজিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
এই ধরনের ঘটনা রোধে ড্যানিস সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আইনী পথ খুঁজছে। কারণ ডেনমার্ক সবসময় অন্য দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি সম্মান জানায়।
চলতি বছরের জুলাইতে উগ্র ডানপন্থি গ্রুপ ডেনমার্কের রাজধানীতে অবস্থিত ইরাক, মিসর এবং তুরস্ক দূতাবাসের সামনে কুরআন পোড়ায়। এছাড়া এ মাসেই সুইডেনে ইরাকি নাগরিক সালওয়ান মোমিকা (৩৭) পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়। যা পুরো মুসলিম বিশ্বকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানায়, সৌদি আরব, তুরস্ক, আরব আমিরাত, ইরান, মরক্কো, কাতার এবং ইয়েমেন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি