ঢাকা, রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Logo
logo

শিক্ষা সংকোচন ও বাণিজ্যিকীকরণের শাসকশ্রেণীর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের ২৫% শিক্ষাখাতে বরাদ্দ, সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব মুক্ত গণতান্ত্রিক শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিতের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ ও অর্থমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি পেশ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ৩১ মে, ২০২২, ০৬:১১ পিএম

শিক্ষা সংকোচন ও বাণিজ্যিকীকরণের শাসকশ্রেণীর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় ছাত্র সমাবেশ-মিছিল ও অর্থমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি পেশ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ। কেন্দ্রী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সভাপতি অনিক কুমার দাস, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম। সমাবেশ শেষে খোলা চিঠি পাঠ করেন সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ। অপরাজেয় বাংলায় সমাবেশ শেষ করে একটা মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে লাইব্রেরির সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, জুন মাসের ৯ তারিখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট জতীয় সংসদে উত্থাপিত হবে। বিগত বছরগুলির অভিজ্ঞতা বলে, প্রতিবছরই বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেলেও সামরিক খাতের মতো অনুৎপাদনশীল খাতগুলিতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ছে, তার বিপরীতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি’র মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ দিনদিন কমছে। শিক্ষা খাতের সাথে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ খাত এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতের সাথে সরকারের সুদ, সরকারি কর্মজীবীদের পেনশন ও কৃষিতে ভর্তুকি যোগ করে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানোর অপচেষ্টা শুরু হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাখাতে বাজেটের ২৫ শতাংশ ও জাতীয় আয়ের ৮ শতাংশ বরাদ্দের যে দাবি ছাত্র সমাজ উত্থাপন করে আসছে, তা বরাবরই উপেক্ষিত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশেগুলির মধ্যে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। শিক্ষাখাতে আয় কমিয়ে অভ্যন্তরিণ আয় বৃদ্ধির কথা বলে প্রতিনিয়ত নামে-বেনামে বিভিন্ন ধরনের ফি- এর বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে  শিক্ষার্থীদের উপর। ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য শিক্ষার দ্বার ক্রমশ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত ক্লাসরুম-শিক্ষক নেই, আবাসন ব্যবস্থা ও পরিবহন ব্যবস্থা অপ্রতুল, স্বাস্থ্যসম্মত সাশ্রয়ী খাদ্যের অধিকার থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশীয় অস্ত্র, বন্দুক হাতে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ছাত্রদলের উপর অব্যাহত হামলা চালিয়েছে। ভিন্ন মত ও সংগঠনকে বলপুর্বক দমন করাই আজ তাদের একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই জোর জবরদস্তি ও ভয়ের রাজত্ব ভাঙতে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা,জাতীয় বাজেটের ২৫% শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা এবং শিক্ষা সংকোচন ও বাণিজ্যিকীকরণের শাসকশ্রেণীর পরিকল্পনা প্রতিহত করার জন্য ছাত্র সমাজকে আহ্বান জানান।