এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:০৯ পিএম
প্রতিবেশি দেশে আক্রমণকারী রাশিয়ার মুখে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলাটা মানায় না: যুক্তরাষ্ট্র
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংকালে মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের কাছে প্রশ্ন করা হয়, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশ সফর করেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং ঢাকায় তিনি বলেছেন, মস্কো এ অঞ্চলে মার্কিন শাসন ও হস্তক্ষেপ প্রতিষ্ঠার যেকোনো উদ্যোগকে প্রতিরোধ করবে। একইসঙ্গে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিকের নাম করে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে আসতে চায় এবং এ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। ইন্দো-প্যাসিফিক ট্র্যাটেজি নিয়ে এর জবাবে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? সূত্র: স্টেটডটগভ/ব্রিফিংস/ডিপার্টমেন্ট-প্রেস-ব্রিফিং, চ্যানেল আই।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের ওই বক্তব্যের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, রাশিয়া প্রসঙ্গে আমি বলবো, এটি হলো এমন একটি দেশ, যে দেশটি তার পাশ্ববর্তী দুই দেশে আগ্রাসন চালিয়েছে। যারা অন্য একটি দেশে আক্রমণাত্মক যুদ্ধ বাধিয়ে স্কুল, হাসপাতাল এবং বাসাবাড়িতে নিয়মিত বোমা হামলা চালাচ্ছে। তাদের মুখে অন্য একটি দেশ নির্দেশনা দিচ্ছে- এমন সমালোচনা মানায় না। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি সম্পর্কে আমি বলবো, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের লক্ষ্য হচ্ছে একটি অবাধ, মুক্ত, সমৃদ্ধ, নিবিড় এবং নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তুলা। এটাই এ অঞ্চলের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান।
জি টুয়েন্টি সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সোহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট অবগত নয় বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র মিলার। তিনি বলেন, আমি যেটা জানি, অন্যান্য সব রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আলোচনার বিষয়ে হোয়াইট হাউস থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে সম্মেলনে হাসিনার সঙ্গে বাইডেনের একটি সেলফির বরাত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছেন, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সোহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
তবে এই সংক্রান্ত আলোচনার কোন বিবৃতি হোয়াইট হাউস কিংবা স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে পাঠানো হয়নি। কিন্তু অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বাইডেনের সাইডলাইনে আলোচনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং মাহমুদুর রহমানের কারাদণ্ড প্রসঙ্গ বাংলাদেশে ২ সিনিয়র সাংবাদিকের কারাদণ্ড এবং আরেক নির্বাসিত সাংবাদিকের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, এর আগেও এই বিষয়ে আমরা বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাংবাদিকরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে দুর্নীতি উন্মোচিত হয় এবং জনগণের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত হয়। নিত্যদিনের যেসব বিষয় জনগণের জীবনকে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে তাদের অবগত করতে সাংবাদিকদের সুযোগ দিতে হবে। আপনারা এখানে যেমন প্রতিদিন আমার কাছ থেকে জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান, ঠিক তেমনি সাংবাদিকদেরকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি প্রায়শই বলে থাকি- সাংবাদিকদের অবশ্যই কোনো ধরনের ভীতি, হয়রানি এবং সহিংসতা ছাড়া কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। বাংলাদেশের যেসকল সাংবাদিকরা সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের রাষ্ট্রীয় এবং নির্যাতনমূলক আচরণের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি