ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

নাগরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের অভিযানে নিহত ২৫


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:০৯ পিএম

নাগরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের অভিযানে নিহত ২৫

নাগরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের অভিযানে নিহত ২৫

ককেশাস অঞ্চলে আবার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজারবাইজানের সৈন্যরা আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর)। নিহতদের দু’জন বেসামরিক নাগরিক বলেও দাবি করা হয়েছে। 

অঞ্চলটির আর্মেনিয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জানায়, আজারবাইজানের বাহিনী এ অভিযানে কামান, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ব্যবহার করছে। এতে ৮০ আহত হয়েছে। তারা আরও জানায়, আজারবাইজানের বাহিনী কারাবাখে অগ্রসর চেষ্টা করছে এবং ‘লাইন অব কন্টাক্ট’ বরাবর পুরো এলাকাজুড়ে যুদ্ধ চলছে।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ অভিযান সম্পর্কে বলেছে, এতে কেবল উচ্চ-নির্ভুল নিশানার অস্ত্র ব্যবহার করে বৈধ সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ করে আক্রমন চালানো হচ্ছে। এ অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক বা বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে না।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের দপ্তর কারাবাখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে অস্ত্র সমর্পন করে ইয়েভলাখ শহরে আলোচনা বসার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট দপ্তর অবৈধ আর্মেনিয় সশস্ত্র বাহিনীগুলোকে সাদা পতাকা উত্তোলন করতে বলেছে, অন্যথায় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এ অভিযান তার লক্ষ্য না অর্জন করা পর্যন্ত চলতে থাকবে।

আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ অভিযানের নিন্দা করে বলেছে, আজারবাইজান নগরনো-কারাবাখের মানুষের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান সম্পন্ন করতে আরেকটি বড় আগ্রাসন শুরু করেছে। আর্মেনিয়া অঞ্চলটিতে মোতায়েন রাশিয়ার শান্তিরক্ষা বাহিনীকে এ আগ্রাসন বন্ধে সুস্পষ্ট ও দ্যর্থহীন পদক্ষেপ নিতে হবে। 

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আজারবাইজানের ভূখণ্ড নাগোরনো-কারাবাখ হলো জাতিগত আর্মেনিয় ছিটমহল। অঞ্চলটি ঘিরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে বিবাদে লিপ্ত রয়েছে। ১৯৯৪ সাল থেকে আর্মেনিয়ার সমর্থনে বিচ্ছিন্নতাবাদী জাতিগত আর্মেনিয় বাহিনী আজারবাইজানের অঞ্চলটি দখল করে রেখেছে।  

নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া অন্তত দুবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবার যুদ্ধে জড়ায় দেশ দুটি। ২০২০ সালে ফের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তারা। এ যুদ্ধে অঞ্চলটি একটি বড় অংশ দখলমুক্ত করে। উভয়পক্ষে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি