ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

হিজাব নিয়ে সংঘর্ষের পর ইরানি তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ০৬ অক্টোবর, ২০২৩, ০৬:১০ এএম

হিজাব নিয়ে সংঘর্ষের পর ইরানি তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

হিজাব আইন লঙ্ঘনের দায়ে তেহরান মেট্রোয় এজেন্টদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর কোমায় পড়ে যাওয়া ইরানের এক কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে দুই বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী। বুধবার রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তারা এ কথা বলেন।

আরমিতা জেরাভান্ডের মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ১৬ বছর বয়সী এই তরুণীর ক্ষেত্রেও একই পরিণতি ঘটতে পারে। মাহা আমিনি নামে ২২ বছর বয়সী এক তরুণী গত বছর কোমায় মারা যান।

যদিও কর্তৃপক্ষ অধিকার সংগঠনগুলির দাবি অস্বীকার করেছে- জেরাভান্ড রবিবার ইসলামী পোশাক কোড প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সাথে সংঘর্ষের পর কোমায় চলে যান, ইরান-কুর্দি অধিকার সংগঠন হেঙ্গাও তেহরানের একটি হাসপাতালে তার ছবি অচেতন অবস্থায় পোস্ট করেন। এ বিষয়ে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আমরা তার মামলা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ইরানে একজন কর্মী বলেন, 'হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে তিনি কোমায় রয়েছেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

দ্বিতীয় এই কর্মী বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী জেরাভান্ডের বাবা-মাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি পোস্ট করতে বা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছে। বিষয়টির স্পর্শকাতরতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নেতাকর্মীরা এ কথা বলেন।

আইআরএনএ-তে শেয়ার করা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মেট্রো প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন দুই মহিলা বন্ধুর সঙ্গে বাধ্যতামূলক হিজাব ছাড়াই জেরাভান্দ। কেবিনে ঢোকার পর দেখা যায়, একজন মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পিছু হটছে এবং মাটিতে পৌঁছচ্ছে, তার আগে অন্য একটি মেয়েকে যাত্রীরা কেবিনে থেকে অজ্ঞান করে টেনে নিয়ে যায়।

তাত্ক্ষণিকভাবে ওই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। তেহরান মেট্রো অপারেটিং কোম্পানির প্রধান মাসুদ ডরোস্তি ইরনাকে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যাত্রী বা কোম্পানির কর্মীদের মধ্যে মৌখিক বা শারীরিক দ্বন্দ্বের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।

ইরানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সোমবার জেরাভান্ডের অবস্থা জানতে হাসপাতালে গেলে এক ইরানি সাংবাদিককে সংক্ষিপ্তভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইরানভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন দাদবান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছে, "ইরানের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, নিম্নচাপের কারণে তার এই অবস্থা হয়েছে।