এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর, ২০২৩, ০৩:১০ এএম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, গত আগস্টে যে বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন নিহত হয়েছিলেন, সেটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয়, বরং বিমানের ভেতরে থাকা হ্যান্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণে ঘটেছে। এখবর জানিয়েছে রুশ গণমাধ্যম আরটি।
সোচিতে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক বৈঠকে পুতিন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে হ্যান্ড গ্রেনেডের টুকরো পাওয়া গেছে। রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটির তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, বিমানে কোনও বাহ্যিক প্রভাব ছিল না।
প্রিগোজিনের বাড়ি ও ওয়াগনারের অফিসে মাদক পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিহতের রক্তে অ্যালকোহল বা মাদকের কোনো বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা হয়নি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে রাশিয়ায় ওয়াগনারের মতো গোষ্ঠীর প্রয়োজন আছে কিনা তা নিয়ে কোনও ঐকমত্য নেই, তবে উল্লেখ করেছেন যে ওয়াগনারের কয়েক হাজার যোদ্ধা রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। তিনি বলেন, "ওরা চাইলে সামরিক অভিযানে অংশ নিতে পারে।
ওয়াগনার রুশ সরকারের বিরুদ্ধে অল্প সময়ের জন্য বিদ্রোহের চেষ্টা করার দুই মাস পর ২৩শে আগস্ট একটি বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোজিন মারা যান।
ওয়াগনারের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকা, ইউক্রেন, যেখানে মস্কো 2022 সালের ফেব্রুয়ারিতে 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরু করেছিল, সেখানে মোতায়েনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার পরিচিতি বেড়েছে।
পুতিন আরও সতর্ক করে দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি পাল্টা পরমাণু হামলা চালায়, তাহলে কোনো শত্রুর বেঁচে থাকার সুযোগ নেই।
আজ পর্যন্ত, আমাদের প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে আক্রমণকারীর বেঁচে থাকার কোনও সুযোগ থাকবে না। তিনি বলেন, "আমি মনে করি না এটা বদলাতে হবে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা কোনো বিবেকবান মানুষ ভাববে না।
তিনি বলেন, রাশিয়ার সামরিক মতবাদে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দুটি কারণ তুলে ধরা হয়েছে: রাশিয়ার ভূখণ্ডে নিক্ষেপ করা একটি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিক্রিয়া এবং যদি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে।