এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর, ২০২৩, ১১:১০ এএম
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়ার মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভারতের ডিজেলের সরবরাহ সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে
বৃহষ্পতিবার ভোরটেক্সা, কেপ্লার এবং এলএসইজিজি-র শিপ-ট্র্যাকিং ডেটার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে ভারতীয় ডিজেলের কেনাবেচা ইউরোপীয় ইউনিয়নে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। নয়াদিল্লি রাশিয়ার তেল আমদানি বাড়িয়েছে, যার বেশিরভাগই ভারতীয় ডিজেল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
সংবাদ সংস্থার মতে, রিপোর্টিং সময়কালে দৈনিক ২ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৩ লাখ ৩ হাজার ব্যারেল বা বিপিডির মধ্যে ভারতীয় ডিজেল সরবরাহ হয়, যা ভারতের মোট ডিজেল রপ্তানির প্রায় অর্ধেক।
এই বাণিজ্য সরবরাহ মূলত ভারত-মূলের কার্গোগুলির পশ্চিমের প্রধান হওয়ার জন্য খোলা সালিশের জন্য দায়ী ছিল, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে তুর্কিয়েতে রাশিয়ান ডিজেল ব্যারেলের ক্ষতির জন্য ব্যবসায়ীরা সম্ভাব্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে অভ্যন্তরীণ জ্বালানি বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডিজেল ও গ্যাসোলিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মস্কো। গত ৬ই অক্টোবর ডিজেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল করা হয়।
অক্টোবরে ইইউ-তে ভারতের ডিজেল রফতানি গত মাসের তুলনায় অনেকটাই কম, প্রায় ৭৫ হাজার বিপিডি। তবে দীপাবলির উত্সবের মৌশুমের কারণে তেল শোধনাগারের টার্নঅরাউন্ড এবং স্থানীয় চাহিদার ঊর্ধ্বগতিকে এই পতনের জন্য দায়ী করছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা।
ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের মতে, ভারতের বেশিরভাগ ডিজেল রাশিয়ান তেল থেকে তৈরি হয়, যার মধ্যে স্থানীয় শোধনাগারগুলি সেপ্টেম্বরে বছরে ৮০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ভার্টেক্সা থেকে ভেসেল ট্র্যাকিংয়ের তথ্যে দেখা গেছে, গত মাসে রাশিয়ার ইউরাল তেলের গড় ১.৫৬ মিলিয়ন বিপিডি কিনেছে নয়াদিল্লি। গত বছরের একই সময়ে এই তেলের দাম ছিল ৮ লাখ ৬৫ হাজার বিপিডি।
ইউক্রেন-সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পশ্চিমা ক্রেতাদের হারিয়ে মস্কো নতুন বাজার আকর্ষণের চেষ্টা করায় ছাড়ের সুযোগ নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার বৃহত্তম তেল আমদানিকারক হিসেবে চীনে যোগ দেয় ভারত।
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্দ্র নোভাক শুক্রবার আরটি আরবিকে বলেন- মস্কো তখন থেকে এই ছাড় কমিয়ে দিয়েছে, যা বর্তমানে ব্যারেল পিছু 11-12 ডলার, বছরের শুরুতে দেওয়া ৩৮ ডলারের তুলনায়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে অশোধিত তেলের চেয়ে এখনো সস্তা হওয়ায় রাশিয়ার তেল কেনাকাটা আরও জোরদার করবে নয়াদিল্লি।