ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

রাশিয়াকে ছাড়া ইউরোপ নেই: বললেন মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ১৫ অক্টোবর, ২০২৩, ০৪:১০ পিএম

রাশিয়াকে ছাড়া ইউরোপ নেই: বললেন মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত

রাশিয়াকে ছাড়া ইউরোপ নেই: বললেন মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত

রাশিয়ায় মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত ডঃ জোসে এম. কাটুফা রাশিয়ান এনার্জি উইক ফোরামের সময় আরটি-কে বলেন , জ্বালানি খাতে রাশিয়ার ভূমিকার গুরুত্ব অতিরঞ্জিত করা যাবে না এবং তা অব্যাহত থাকবে। 

রাষ্ট্রদূত কাটুফার মতে, জ্বালানি খাতে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য প্রভাব এটিকে "একটি বহু-মেরু বিশ্ব তৈরিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়" করে তুলেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, যখন শক্তি উৎপাদনের কথা আসে, তখন "রাশিয়াকে ছাড়া কিছুই চলতে পারে না" এবং মস্কো "আজকের বিশ্বে তার ন্যায্য ভূমিকা পালন করছে"।
রাশিয়াকে ছাড়া ইউরোপ নেই উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, মোজাম্বিক জ্বালানি খাতে অতিরিক্ত সহযোগিতার জন্য অপেক্ষা করছে।

ফোরামটি ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে ৪০০০ এরও বেশি অংশগ্রহণকারীকে আকর্ষণ করেছে।

এই বছরের ফোরামের ফোকাস নতুন শক্তির বাস্তবতার উপর। আলোচনার প্রাথমিক বিষয়গুলি ছিল জ্বালানি সরবরাহ ও কাঁচামালের জন্য বৈশ্বিক মূল্য নির্ধারণ, বৈশ্বিক তেল শিল্পের বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জ্বালানি ও জ্বালানি খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির বাস্তবায়ন।

বুর্কিনা ফাসো, মালি, দক্ষিণ সুদান এবং আরও বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশ এই ফোরামে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।

বুর্কিনা ফাসোর জ্বালানি, খনিজ ও ক্যারিয়ার বিষয়ক মন্ত্রী সাইমন পিয়েরে বুসিম বলেছেন, 2030 সালের মধ্যে দেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
তাসের মতে, মন্ত্রী বলেন- পশ্চিম আফ্রিকা দেশটি 2030 সালের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ সুবিধা নির্মাণ করতে চায়, যার ফলে তার শক্তির ঘাটতি সমাধান হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, বুর্কিনা ফাসোর শিল্প খাতে এই শক্তির প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের রাশিয়ান সমকক্ষদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করছি। মন্ত্রী বলেন, এছাড়াও কীভাবে আমাদের জ্বালানি ঘাটতি পূরণ করা যায় তা নির্ধারণের জন্য আমরা এই রাশিয়ান জ্বালানি সপ্তাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চাই। বুর্কিনাবের একটি সংবাদ সংস্থা এআইবি জানিয়েছে- রোসাটম এবং বুর্কিনা ফাসো জ্বালানি মন্ত্রক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবে।