ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

গাজার ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ১৭ অক্টোবর, ২০২৩, ০৪:১০ পিএম

গাজার ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে

গাজার ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে

হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে গাজার ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারী মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক তহবিল (ইউএনএফপিএ) জানিয়েছে, গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীরা প্রাথমিক স্বাস্থসেবার জন্য রীতিমত লড়াই করছেন। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার নারী আগামী মাসেই সন্তান জন্ম দেবেন। 

ইউএনএফপিএর ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি ডোমিনিক অ্যালেন সিএনএনকে বলেন, ‘একবার ভাবুন, অন্তঃসত্ত্বা নারী কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে সন্তান জন্ম দেওয়ার আগের সময়গুলো, সম্ভাব্য জটিলতা, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকা, স্বাস্থ্যবিধির অভাব তাদের এবং তাদের অনাগত সন্তানের জন্য কেমন হবে?

সন্তান জন্মদানের পর এসব নারীদের এবং নবজাতকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ গাজার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। এর মধ্যেই সেখানকার হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে।


জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে যে পরিমাণ জ্বালানি আছে তাতে আর মাত্র ২৪ ঘন্টার মতো সেবা দেয়া যাবে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর গত রোববার থেকে গাজার ওপর ‘অবরোধ’ আরোপ করে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট ঘোষণা করেন, গাজাকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি খাদ্য বা জ্বালানি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

অবরোধ আরোপের পর থেকে সেখানে জেনারেটরই একমাত্র ভরসা। জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার কার্যালয়। সম্প্রতি জ্বালানি ও পানিসহ মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বেশ কয়েকটি ত্রাণ সংস্থা গাজায় প্রবেশ করতে দেয়ার আহ্বান জানানোর পর জাতিসংঘও এ বিষয়ে সতর্ক করলো।