জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে হামলায় আল জাজিরা কর্মীর পরিবারের ১৯ সদস্যকে নিহত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ভয়াবহ এই এক হামলাতেই আল জাজিরার এক প্রকৌশলীর পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ওই আল জাজিরা কর্মীর বাবা ও দুই বোনও রয়েছেন। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ওই বিমান হামলায় অর্ধশতাধিক লোক নিহত হয়েছেন বলে একজন মেডিকেল কর্মকর্তা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। 

গাজায় আল জাজিরা ব্যুরোর সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসান জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার বাবা এবং দুই বোনসহ পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলাকে ‘গণহত্যা’ এবং ‘ক্ষমার অযোগ্য কাজ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জঘন্য এবং নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে আল জাজিরা। এতে আমাদের নিবেদিত এসএনজি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। এই হামলায় মোহাম্মদের বাবা, দুই বোন, আট ভাগ্নে এবং ভাতিজি, তার ভাই, তার ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাদের চার সন্তান, তার ভগ্নিপতি এবং এক চাচা নিহত হয়েছেন।’

গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. আতেফ আল-কাহলুত আল জাজিরাকে বলেছেন, ইসরায়েলি এই হামলায় ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল এখনও নিহতের মোট সংখ্যা জানাতে পারেনি কারণ এটি এখনও নিহতদের সংখ্যা গণনা চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষ আটকে আছেন।’

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেচট দাবি করেছেন, ‘সেই এলাকায় হামাসের একজন সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। তিনি আরও বলেন, আমরা এটি অনুসন্ধান করছি এবং সেখানে কী ঘটেছে তা জানার সাথে সাথে আমরা আরও তথ্য নিয়ে হাজির হবো।

জাবালিয়ায় হামলার পর ধারণ করা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের হামলার জেরে সৃষ্ট বড় বড় গর্তের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এবং উদ্ধারকারীদের ধসে পড়া ভবনের নিচে বেঁচে থাকা লোকদের খুঁজে বের করার জন্য সংগ্রাম করতেও দেখা যায়।

কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল জাজিরা আরবির গাজা সংবাদদাতা ওয়ায়েল দাহদুহের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে এবং নাতি নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় এই হামলা হলো এবং আল জাজিরা কর্মীর পরিবারে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটল।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি