এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর, ২০২৩, ০৩:১১ পিএম
মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ইসরায়েলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসরায়েল যখন বলছে, তারা গাজা শহর চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে, তখন ত্রাণ বিতরণের জন্য মানবিক কারণে সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন শুক্রবার ইসরায়েল পৌঁচেছেন।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের প্রায় এক মাস পূর্ণ হতে চললো। সংঘাতের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য এটা হলো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিতীয় দফা ইসরায়েল সফর। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় বেশি শিকার হচ্ছে চোরাগোপ্তা হামলার। যুদ্ধের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘হিট-এ্যান্ড-রান’।
সমুদ্র তীরবর্তী গাজা উপত্যকার মূল শহর ইসরায়েলি সেনারা ঘেরাও করে ফেলেছে জেনে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি এবং উল্লেখ করার মতো সাফল্যও পাচ্ছি। গাজা শহরের বাইরের এলাকা অতিক্রম করেছে আমাদের সেনারা। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করার সময় ব্লিনকেন বলেছেন, গাজায় যাতে বেসামরিক লোক মারা না যায় এই নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করবেন তিনি। ইতোমধ্যে হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি হবে সাময়িক এবং যে যেখানে আছে, সে সেখানেই থাকবে। তারা ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে’ কথাটি থেকে এক বিন্দুও নড়বেন না।
ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের হতাহতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সেখানে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও জ্বালানি নেই। এই পর্যায়ে বিশ্বনেতারা সাময়িক যুদ্ধবিরতি বা পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েল বিশ্বনেতাদের এই আহবান উপেক্ষা করে বলেছে, হামাস সদস্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে বা আবাসনে গা-ঢাকা দিয়ে আছে। হোয়াইট হাউজও পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাতিল করে দিয়েছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি