ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক পরিবারের ২১ জন নিহত


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৪ নভেম্বর, ২০২৩, ০২:১১ পিএম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক পরিবারের ২১ জন নিহত

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক পরিবারের ২১ জন নিহত

 ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজার বহু পরিবার স্বজনহারা হয়েছেন। কোনো কোনো পরিবারের তো কেউ বেঁচে নেই। এমনই একজন আহমেদ। লন্ডনে বসবাস করা আহমেদ ভোর চারটার সময় জেগে উঠে তার পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চেক করে আসছেন। ইসরায়েল গাজায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পর থেকেই তার বাবা এবং ভাই-বোনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা কঠিন ছিল। কিন্তু দুই দিন আগে তার বোন ওয়াল্লাহর কাছ থেকে একটি বার্তা আসে। বোমায় তার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির ভেতরের জানালা এবং দরজা সব ভাঙ্গা ছিল, ওয়াল্লাহ গ্রুপে লিখেছেন। কিন্তু জরুরি বিষয় হলো ঈশ্বর আমাদের রক্ষা করেছেন। আমরা সবাই ভালো আছি। 

আহমেদ উত্তরে লিখলেন, বাড়ি ঠিক করা যাবে, গুরুত্বপূর্ণ হলো তুমি নিরাপদ আছো। ওয়াল্লাহ আর তার চার সন্তান গাজার মাঝখানে দেইর আল-বালাহতে তাদের বাবার বাড়িতে চলে যান। সেই রাতে আহমেদ যখন জেগে ওঠেন তার পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি একেবারে শান্ত ছিল।

তিনি আরও বেশ কিছু লোকের বার্তা দেখতে পান, যা পাঠানোর পর মুছে ফেলা হয়েছে। তিনি গাজায় একজন বন্ধুকে ফোন করেছিলেন কী হচ্ছে তা জানার জন্য। তিনি জানতে পারেন, তার পরিবারের সবাই মারা গেছে। 

যুদ্ধের শুরু থেকেই আহমেদ এবং তার গাজার ফ্ল্যাটমেটরা জাহান্নামের মতো একটি অবস্থায় আছেন। তাদের ফোন ধ্বংস আর মৃত্যু খবরের ভান্ডার হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন তাদের জানানো হয় প্রতিবেশী, বন্ধু বা যার সাথে তারা স্কুলে গিয়েছিল তাদের মধ্যে কেউ না কেউ মারা গেছে। কিন্তু তিনি কখনোই ভাবেননি যে এই যুদ্ধ সরাসরি তার পরিবারের দিকে আসবে। 

তাদের বাড়ি দেইর আল-বালাহর মাঝখানে। এটি এমন এক এলাকায় যা আগে কখনও লক্ষ্যবস্তু হয়নি। তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম, এটি তাদের জন্য কঠিন সময় কিন্তু তারা সবাই ঠিক থাকবে। 

বিমান হামলায় যখন তাদের বাড়িটি ভেঙে পড়ে তখন সব মিলিয়ে ২১ জন মানুষ মারা গেছে, যাদের মধ্যে ছিল আহমেদের বাবা, তার তিন বোন, দুই ভাই এবং তাদের ১৫ জন সন্তান। নিহতদের তালিকা এতটাই দীর্ঘ ছিল যে তার পরিবারের নিহত প্রতিটি ব্যক্তির নাম ও বয়স বলার সময় তিনি বারবার আটকে যাচ্ছিলেন। 

শিশুদের মধ্যে তার ১৩ বছর বয়সী ভাতিজা এসলাম ছিল সবচেয়ে বড়। তাকেই আহমদ সবচেয়ে বেশি চিনতেন। ইসলামের জন্মের সময় আহমেদ কিশোর ছিলেন এবং তখনও তিনি বাড়িতেই থাকতেন। বোন কাজে যাওয়ার পর তার মা এসলামের দেখাশোনা করতেন। ফলে আহমেদও প্রায়ই এসলামকে খাওয়াতে এবং কাপড় পরিবর্তনে সাহায্য করতো।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি