ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

আল-শিফায় হামাস কোথায়!


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৭ নভেম্বর, ২০২৩, ১০:১১ পিএম

আল-শিফায় হামাস কোথায়!

 আল-শিফায় হামাস কোথায়!

যুদ্ধ চলছে গাজার আল-শিফা হাসপাতালে। ‘হামাস বনাম ইসরায়েলি সেনার’ লড়াই। ট্যাঙ্ক থেকে গোলা ছোড়া হচ্ছে। আকাশপথে হামলাও অব্যাহত। যদিও এখনও পর্যন্ত আল-শিফা হাসপাতালের সঙ্গে হামামের ঘাঁটির কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি ইসরায়েল। গাজার এক সাংবাদিকের দাবি, কোনও কিছু প্রমাণ করতে না পেরে ইসরায়েলি সেনারা তাণ্ডব শুরু করেছে। বুলডোজার দিয়ে হাসপাতালের দেওয়াল ভাঙছে। অস্ত্রোপচারের জন্য নির্দিষ্ট ভবনটি ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। হাসপাতালের প্রতিটি ফটকে সেনানিয়োগ করে সাধারণ মানুষকে ‘বন্দি’ করা হয়েছে। হাসপাতালের যে গুদামঘরগুলোতে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী মজুত করে রাখা থাকে, সেগুলো বোমা ফেলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্তত ২০০ জনকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তাঁরা কোথায়, কেউ জানে না!

আল-শিফা হাসপাতালের ডিরেক্টর মহম্মদ আবু সালমিয়ার দাবি, ইসরায়েল ক্রমাগত মিথ্যা কথা বলছে। হাসপাতালের ভিতর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে কেউ গুলি চালায়নি। এখানে কোনও জঙ্গি নেই। তিনি বলেন, ‘রোগীদের ছেড়ে কোথাও যাব না। মরতে হলে সবাই একসঙ্গে মরব। জলের কষ্ট ক্রমশ বাড়ছে। ইজ়রায়েলি সেনা জলের লাইন ভেঙে দিয়েছে।’

ইসরায়েল ছাড়া একমাত্র আমেরিকা এখনও বলছে, আল-শিফা হাসপাতাল হামাসের প্রধান ঘাঁটি।
 প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐ স্বীকারোক্তি দেন। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহতের বিষয়টি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঘৃণা উস্কে দেবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে এভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন তিনি। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস বেসামরিকদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নেতানিয়াহু বলেন, “যে কোনো বেসামরিকের মৃত্যু একটি দুঃখজনক ঘটনা। লড়াই থেকে বেসামরিকদের সরিয়ে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি আমরা তাই আমাদের হাতে কারও মৃত্যু হওয়া উচিত হয়নি, অথচ হামাস তাদের ক্ষতির মধ্যে রেখে দেওয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছে। “তাই আমরা লিফলেট পাঠিয়েছি, তাদের মোবাইল ফোনে কল দিয়েছি আর বলেছি: ‘চলে যাও’। আর অনেকে চলে গিয়েছে।”

তিনি বলেন, ‘আমি আর যা বলতে পারি সেটি হল, বেসামরিক হতাহত সর্বনিম্ন পর্যায়ে রেখে আমরা কাজটি শেষ করার চেষ্টা করবো। এটিই আমরা করার চেষ্টা করছি। বেসামরিক হতাহত সর্বনিম্নে রাখা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা সফল হইনি।’

ইসরায়েল ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে ১১৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক এবং তাদের মধ্যে ৪৭০০ শিশু রয়েছে বলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। জাতিসংঘ এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে সহমত হয়েছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি