এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর, ২০২৩, ০৪:১১ পিএম
উত্তরাখণ্ড টানেল বিপর্যয়ের ৯ দিন পর মোদীর ফোন, সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস
৯ দিন পার হওয়ার পরও ভেঙে পড়া টানেলেই আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের ৯ দিন কেটে যাওয়ার পর অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আটকা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার কাজে সমস্ত রকম সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিলেন তিনি।
গত রোববার নির্মীয়মাণ টানেলটি ভেঙে পড়ার পরেই শুরু হয়েছিল উদ্ধার কাজ। শুধু দেশি নয়, বিদেশি উদ্ধারকারী সংস্থাও হাত লাগিয়েছে কাজে। ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে চলছিল অক্সিজেন পাঠানো। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল খাবার এবং পানিও। ৪টি পাইপ ইতোমধ্যেই ঢোকানো হয়ে গিয়েছিল। মাঝে ধস নেমে ব্যাহত হয়েছিল উদ্ধার কাজ। তারপর ড্রিল করে পঞ্চম পাইপটি ঢোকানোর চেষ্টা করতেই শুক্রবার বিকেলে ফাটল ধরার বিকট শব্দ কানে আসে। বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ।
উত্তরাখণ্ডের রোড ট্রান্সপোর্ট এবং হাইওয়ে সেক্রেটারি ঔরঙ্গ জৈন জানিয়েছেন, শ্রমিকদের নিরাপদে বের করে আনার জন্য পাঁচটি বিকল্প সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং পাঁচটি ভিন্ন সংস্থাকে এই বিকল্পগুলো সম্পাদন করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন (ওএনজিসি), শতদ্রু জল বিদ্যুৎ নিগম (এসজেভিএনএল), রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল), ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এবং তেহরি হাইড্রো ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (টিএইচডিসিএল) নামে পাঁচটি সংস্থা ৫ রকম বিকল্প ব্যবস্থার দায়িত্বে আছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর নির্মাণ শাখাও উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি এবং পুষ্কর সিং ধামি রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন। শ্রী গড়করি জানিয়েছেন, তাদের শ্রমিকদের বাঁচিয়ে রাখাকেই এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। যে হারে কাজ এগোচ্ছে তাতে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আটক শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো যাবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পাইপলাইনের মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য অবসাদের ওষুধ, মাল্টিভিটামিন, খাবার, পানি ইত্যাদি পাঠানো হচ্ছে।