ঢাকা, মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫ | ৩ চৈত্র ১৪৩১
Logo
logo

শেরপুর সদরের নিখোঁজ কিশোরী গাজীপুরে উদ্ধার


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ০৭ জুন, ২০২২, ০৪:১১ পিএম

শেরপুর সদরের নিখোঁজ কিশোরী গাজীপুরে উদ্ধার

শেরপুর জেলার সদর খুনুয়া পশ্চিমপাড়া থেকে নিখোঁজ দুইবোন কিশোরী মোছাঃ মনিকা আক্তার মনি (১৬) ও মোছাঃ মিমকে (০৮) গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে জামালপুর পিবিআই।

নিখোঁজ কিশোরী ভিকটিম মোছাঃ মনিকা আক্তার মনি (১৬) এবং মোছাঃ মিম (০৮) উভয়ের পিতা-মোঃ মানিক মিয়া, সাং-খুনুয়া পশ্চিমপাড়া, থানা ও জেলা-শেরপুরকে গত ২৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখ শেরপুর জেলা সদর থানাধীন খুনুয়া পশ্চিমপাড়া সাকিনস্থ তাদের পিতার বাড়ী হইতে নিখোঁজ হয়। এ সংক্রান্তে ৩০ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে নিখোঁজদ্বয়ের পিতা মোঃ মানিক মিয়া শেরপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। যার নং-২৮১৩, তারিখ- ৩০ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ। পরবর্তীতে নিখোঁজদের পিতা মোঃ মানিক মিয়া বাদী হয়ে বিজ্ঞ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল, শেরপুরে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন পিটিশন মামলা নং-০২/২০২২, ধারা: মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬(২) দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধারসহ ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ সুপার, পিবিআই, জামালপুর মহোদয়কে নির্দেশ প্রদান করেন।  জামালপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপারের হাওলা মতে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ আবুল কালাম মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন এবং তদন্তের জন্য তৎপর হন। 
পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারের সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পুলিশ সুপার এম.এম. সালাহ উদ্দীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ আবুল কালামের নেতৃত্বে জামালপুর পিবিআইয়ের একটি অভিযানিক দল গত ০৬ জুন ২০২২ তারিখে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গভীর রাতে গাজীপুর মহানগরস্থ বাসান থানা এলাকা হইতে মামলার ভিকটিম মোছাঃ মনিকা আক্তার মনি (১৬) এবং মোছাঃ মিমকে (০৮) উদ্ধার করে। অতঃপর বিধি মোতাবেক তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

অত্র মামলার ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমদ্বয়ের বাবা মোঃ মানিক মিয়া তার জমি সংক্রান্ত বিরোধসহ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে কতিপয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করলেও ভিকটিমদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রকাশ করে যে, ভিকটিম মোছাঃ মনিকা আক্তার মনি (১৬) অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও তাহর বাবা একজন খারাপ প্রকৃতির ছেলে তথা তার এক আত্মীয়ের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার জন্য পায়তারা করলে ভিকটিমদ্বয় বাড়ী থেকে পালিয়ে গাজীপুরে চলে যায়। সেখানে অজ্ঞাতনামা কতিপয় ব্যক্তিদের সহায়তায় একটি গার্মেন্টসে কাজ নেয় এবং বাসান থানা এলাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়া বসবাস করে। উক্ত ঘটনার সাথে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।