এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর, ২০২৩, ০৮:১১ পিএম
মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতে এখন সাময়িক বিরতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য মধ্যপ্রাচ্যে আরও একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে। এই যুদ্ধজাহাজটি উপসাগরে আগে থেকে মোতায়েন আরেকটি যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে যোগ দেবে।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রতিক্রিয়ায় উপসাগরে দ্বিতীয় যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এইচএমএস ডায়মন্ড নামের টাইপ ৪৫ ডেস্ট্রয়ার সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ফ্রিগেট এইচএমএস ল্যাঙ্কাস্টারের সঙ্গে যোগ দেবে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, ‘এই অঞ্চলে আমাদের উপস্থিতি জোরদার করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ’।
এছাড়াও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স শিগগিরই ইংলিশ চ্যানেল থেকে বাল্টিক সাগরে টহল শুরু করবে। মূলত ইউরোপের সমুদ্রের তলদেশের থাকা গুরুত্বপূর্ণ তারগুলো রক্ষা করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
এইচএমএস ল্যাঙ্কাস্টার গত বছর থেকে উপসাগরে অবস্থান করছে। এটি সেখানে তিনটি রয়্যাল নেভি মাইনহান্টারের পাশাপাশি অবস্থান করছে। শ্যাপস বলেছেন, সেখানে একটি ডেস্ট্রয়ার যুক্ত করা হলে তা বিপজ্জনক সময়ে এই অঞ্চলে তাদের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, ‘আরও অস্থিতিশীল এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্ব থেকে ব্রিটেন এবং আমাদের স্বার্থকে নিরাপদ রাখতে এই অঞ্চলে যুক্তরাজ্য তার উপস্থিতি আরও জোরদার করছে এবং এটি করা গুরুত্বপূর্ণ।’
বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ ইরান এবং তার প্রক্সিদের কাছে স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে বলেও দাবি করেছেন শ্যাপস। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর ইতোমধ্যেই লেবাননের হিজবুল্লাহ আন্দোলনের পাশাপাশি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই ইসরায়েলের মূল মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে তার নৌবাহিনীর অবস্থান আরও বাড়িয়েছে। সংঘাত শুরুর পর দেশটি সুয়েজের পূর্বে একটি মার্কিন রণতরী পাঠিয়েছে এবং সেইসাথে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি