ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

মিশা সওদাগর ও মিতার ১০ বছরের প্রেম, ৩০ বছরের সংসার


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০১:১২ পিএম

মিশা সওদাগর ও মিতার ১০ বছরের প্রেম, ৩০ বছরের সংসার

মিশা সওদাগর ও মিতার ১০ বছরের প্রেম, ৩০ বছরের সংসার

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় খল নায়ক মিশা সওদাগর। পর্দায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই চরিত্রেই দেখা গেছে তাকে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক চরিত্রে দেখা মিলেছে তার। যতটা নেতিবাচক ও হিংস্র। বাস্তবেই ততটাই ইতিবাচক ও মানবিক। এই অভিনেতা বাস্তব জীবনে একজন তুখোড় প্রেমিক ও আদর্শবান স্বামীও বটে। এই খল নায়কের প্রেমকাহিনি যেকোনো রোমান্টিক সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।

টানা ১০ বছর চুটিয়ে প্রেম করে বিয়ে করেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। তার স্ত্রীর নাম মিতা দেখতে দেখতে এক ছাদের নিচে ৩০টি বছর পার করেছেন এই দম্পতি। ১৯৯৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ভালোবেসে বিয়ে করেন মিশা-মিতা। বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রী মিতাকে নিতে নিজের ভেরিফায়েড পেইজে মিশা সওদাগর লিখেন, ‘৩০ বছর পার করার পর আমার উপলব্ধি হচ্ছে, মানুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে তার মা। আর একজন পুরুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি হচ্ছে স্ত্রী। যে তার মানসম্মান, অর্থ প্রতিপত্তি, সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনা, সন্তান-সন্ততি আমানত হিসেবে রক্ষা করে। তোমার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা, অনেক ভালোবাসা। আমাকে আজকের দিনে কবুল করার জন্য তোমার কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। শুভ হোক বিবাহবার্ষিকী।

প্রেম ও বিয়ের স্মৃতিচারণ করে মিশা সওদাগর বলেন, প্রেমের যখন শুরু তখন আমি ম্যাট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষার্থী ছিলাম। আর স্ত্রী (মিতা) পড়তো নবম শ্রেণিতে। আমার আম্মা ও মিতার আম্মা নিকটাত্মীয় আমাদের বাসা এবং তাদের বাসায় যাতায়াত ছিল আর সেই সূত্র ধরেই প্রেম।

প্রেমে পড়ার গল্প জানিয়ে জনপ্রিয় এই খল অভিনেতা বলেন, ‘আমরা তো ঢাকার লোক, নিজের ড্রেসআপ গেটআপের দিকে খেয়াল করতাম। পড়াশোনার দিকে খেয়াল করতাম না। কিন্তু মিতা ফাইভে বৃত্তি পাওয়া মেয়ে। তার মেধা আমাকে খুব আকৃষ্ট করে। এই জায়গা থেকে আমার ফিল আরম্ভ হয়। প্রথম একটা চিঠি দিয়ে প্রেমের শুরু করেছিল মিতা। তবে দুজনের ১০ বছরের প্রেমের গল্প মোটেও সহজ ছিল না। ছিল পারিবারিক আপত্তি।

মিশা সওদাগরের স্ত্রী মিতা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েও প্রেমের কারণে তা ছেড়ে দেন। এ বিষয়ে মিশা সওদাগর বলেন, ‘মিতা চট্টগ্রাম মেডিকেলে চান্স পেয়েছিল। আমি সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেই খবর ওর আব্বা ওর চট্টগ্রামে পড়া বন্ধ করে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি করেছিল। এ ছাড়া আরো অনেক ঝামেলা গেছে আমাদের। কিন্তু আমরা দুজন দুজনকে ছাড়িনি। একবার এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে তাকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিল, তখন আমরা বিয়ে করি।

মিশা দম্পতির দুই ছেলসন্তান রয়েছে। দুই ছেলেই যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। অবসর পেলেই সন্তানদের কাছে বেড়াতে যান মিশা।

বর্তমানে মিশা অভিনীত এক ডজনেরও বেশি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়। এরমধ্যে ‘আগুন’ ও ‘কুস্তিগির’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন। সবশেষ সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘এশা মার্ডার’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন