এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০১:১২ পিএম
গাজায় আহত দোনিয়া বেঁচে থাকার সুযোগ পেল না
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনুস শহরে অবস্থিত এ মেডিকেল হাসপাতাল কমপ্লেক্সটিতে সোমবার রাতভ’র হামলা চলে। এ হামলায় আগে আহত হওয়া ওই ছোট্ট মেয়েটি নিহত হয়েছে। সোমবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এ খবর জানায়।
নিহত দোনিয়া আবু মোহসেন নামের মেয়েটির বয়স ১৩ বছর। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের ম্যাটারনিটি ভবনে কামানের গোলার আঘাতে শহীদ দোনিয়া তার পরিবারের নিহত সব সদস্যের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। দোনিয়া নিহত হওয়ার আগেই ইসরায়েলি হামলায় তার বাবা-মা ও সব ভাইবোন নিহত হয়। সেসময় আহত দোনিয়ার একটি পা কেটে ফেলা হয়েছিল।
নাসের হাসপাতালের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ জাকাউত বলেন, গাজার মানুষের বেঁচে থাকার সব পথ বন্ধ করতে ইসরায়েল সুপরিকল্পিতভাবে সেখানকার হাসপাতালগুলোর ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন ওরা তার ওপর বোমাবর্ষণ করে। আমরা প্রথম হামলার শব্দ শুনতে পাইনা। আতঙ্কিত অবস্থায় যখন ্আমরা ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি আগুন জ্বলছে। এরপর আমাদের ওপর নিক্ষিপ্ত হয় দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। তারপর আরেকটি। এভাবে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে আমাদের ওপর। কিভাবে আমরা বাঁচবো তা আমরা জানি না।
সুস্থ হওয়ার পর দোনিয়া বলেছিল, আমি ঘুম থেকে জেগে দেখি, সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। পাথর, রক্ত ও ধুলায় সব কিছু একাকার এবং আগুন জ্বলছে। ভয়াবহ ধ্বংসের পরও আমি ভয় পাইনি কারণ আমার বাবা ও বোন আমার পাশে ছিলেন। লোকেরা আমাকে হাসপাতালে নেওয়ার পরও আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। কয়েকজন আমার অস্ত্রোপচারের জন্য আসলেন। আমার পা কেটে ফেললেন।’
‘ওই হামলায় আমার মা-বাবা ছোটভাই মোহাম্মাদ ও ছোট বোন ডালিয়া শহীদ হয়। আমি অন্যত্র চলে গিয়ে কৃত্রিম পা লাগিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখেছিলাম।’ দোনিয়াও শাহাদতের পেয়ালা পান করলো পরিবারের অন্যদের মতো।’সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি