ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

নাবালিকা ধর্ষিতার পরিচয় পোস্ট করে বিতর্কে রাহুল, ‘টুইট’ মুছে ফেলার প্রতিশ্রুতি আদালতে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৩:১২ পিএম

নাবালিকা ধর্ষিতার পরিচয় পোস্ট করে বিতর্কে রাহুল, ‘টুইট’ মুছে ফেলার প্রতিশ্রুতি আদালতে

নাবালিকা ধর্ষিতার পরিচয় পোস্ট করে বিতর্কে রাহুল, ‘টুইট’ মুছে ফেলার প্রতিশ্রুতি আদালতে

ধর্ষিতা নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করে মামলায় জড়িয়ে পড়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে বলেছেন, অভিযোগ ওঠায় টুইটটি তিনি ডিলিট করে দেবেন। পরে গান্ধীর আইনজীবী দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি মিনি পুষ্কর্ণার ডিভিশন বেঞ্চকে বলেন, ‘এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ের ছবি পোস্ট করে ভুল করেছেন তার মক্কেল। অবিলম্বে সেটি ডিলিট করে দেওয়া হবে।’ এব্যাপারে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করেন তারা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে রাজধানী দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। শ্মশানের ভিতরে একজন পুরোহিত ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠে। ঘটনার পর নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল। অতীতের টুইটারে এ ব্যাপারে একটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন রাহুল।

তাতে ওই নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মামলাটি দায়ের করেছিলেন সমাজ কর্মী মকরন্দ সুরেশ মহাদলেকার। আদালতে ওই সমাজ কর্মীর অভিযোগ, রাহুল নির্যাতিতার ও তার পরিবারের ছবি প্রকাশ করে শিশু সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন করেছেন। কারণ, যৌন অপরাধের শিকার নাবালিকাদের পরিচয় প্রকাশ আগেই নিষিদ্ধ করেছে শীর্ষ আদালত। রাহুল এ ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশও লঙ্ঘন করেছে বলে তার অভিযোগ।

পুলিশের তরফে এদিন আদালতে দাবি করা হয়েছে, ধর্ষণ করে খুন করার সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি। পুলিশের দাবি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ওই নাবালিকার। এ ব্যাপারে রাহুলের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ এফআইআর করতে চাইছে কি না, জানতে চান হাইকোর্টের বিচারপতি।

দিল্লি পুলিশের আইনজীবী বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই ধরনের টুইট শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে সেটি যদি প্রমাণ না হয়, তাহলে এক্ষেত্রে টুইট করার বিষয়টি কোনও অপরাধ নয়। তাই পুরো ঘটনাটি আরও ভাল করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ জানুয়ারি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি