ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

জাপানে নববর্ষের দিনে ১৫৫টি ভূমিকম্প, নিহত ২০


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০১:০১ পিএম

জাপানে নববর্ষের দিনে ১৫৫টি ভূমিকম্প, নিহত ২০

জাপানে নববর্ষের দিনে ১৫৫টি ভূমিকম্প, নিহত ২০

জাপানে গত সোমবার (১ লা জানুয়ারি) এ বিপুল সংখ্যক ও শক্তিশালি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। এর মধ্যে দেশটির মধ্যাঞ্চলের শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬। জাপানের আবহাওয়া অফিস এখবর জানিয়েছে।

ভূমিকম্পে বহু ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা করছেন। ভূমিকম্পের পর সুনামির শঙ্কা দেখা দেয় এবং হাজারও মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়। এদিন আঘাত হানা বেশিরভাগ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার বেশি। এসব ভূমিকম্প মাঝারি মাত্রার হলেও মঙ্গলবার(২ জানুয়ারি) ভোরেও দেশটিতে ৬টি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।

জাপানের কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানিয়েছে, নতুন বছরের প্রথম দিনে মধ্য জাপানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন মারা গেছেন। এছাড়া কম্পনের জেরে এক মিটার উঁচু সুনামির ঢেউ আঘাত হানে এবং এতে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া এতে একটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে যাতে ব্যাপক ধ্বংসের সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবারের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রার ব্যাপারে খবর এখনও আসছে। বিভিন্ন খবরের ফুটেজে ভেঙে পড়া ভবন, বন্দরে ডুবে যাওয়া নৌকা, অগণিত পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর এবং হিমাঙ্কের তাপমাত্রায় স্থানীয় বাসিন্দাদের রাতভর বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে দেখা যাচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, জাপানের হোনশু দ্বীপের ইশিকাওয়া জেলায় আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৫। তবে জাপানি কর্তৃপক্ষ এই কম্পনকে ৭.৬ মাত্রার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।  সোমবার মধ্যরাত ১টা পর্যন্ত জাপানে আঘাত হানা ৯০টিরও বেশি ভূমিকম্পের মধ্যে একটি ছিল এ ভূমিকম্প।

এদিকে কম্পনের পর সোমবার ওয়াজিমা বন্দরে কমপক্ষে ১.২ মিটার (চার ফুট) উঁচু ঢেউ আঘাত হানে এবং অন্যত্র কয়েকটি ছোট সুনামির খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবার জাপানের এই অঞ্চলের প্রায় ৩২ হাজার ৭০০টি পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, কয়েক হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় এক হাজার লোক একটি সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থান করছেন বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সোমবার রাতে এক জরুরি বৈঠকের পরে বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যে কোনও উপায়ে  দুর্গত এলাকায় পৌঁছানোর জন্য আমি (জরুরি কর্মীদের) নির্দেশ দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘এখন খুব ঠান্ডা। আর তাই প্লেন বা জাহাজ ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পানি, খাবার, কম্বল, তেল, পেট্রল, জ্বালানি তেল সরবরাহ করার জন্য আমি নির্দেশনা জারি করেছি।’সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি