ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলা


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০২:০১ পিএম

ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলা

ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, বিদেশি জাহাজ লক্ষ্য করে ইরান সমর্থিত হুতিদের রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সক্ষমতাকে খর্ব করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। হুতি বিদ্রোহীদের নির্দিষ্ট সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। 

এদিকে হুতি নেতা আবদেল মালেক আল-হুতি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২৪টি ড্রোন এবং অসংখ্য মিসাইলের সাহায্যে আমেরিকার আক্রমণের জবাব দেয়া হয়েছে। আমেরিকা আক্রমণ করলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। আমেরিকা যেন তার জন্য তৈরি থাকে। 

হুতিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং যুক্তরাজ্যকে এর জন্য বড় দাম দিতে হবে।


এক বিবৃতিতে অস্টিন বলেন, হুতিদের মানুষবিহীন আকাশযান, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, উপকূলীয় রাডার এবং বিমান নজরদারি সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলো এই হামলার লক্ষ্যবস্তু।

অস্টিন আরও বলেছেন, নৌবাহিনীকে বিপদে ফেলতে এবং নৌপথে বিশ্ববাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলতে হুতিদের সক্ষমতা খর্ব করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। 

অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘লোহিত সাগরে উত্তেজনা নিরসন ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করাই আমাদের লক্ষ্য। তবে আমরা এটাও স্পষ্ট করতে চাই যে আমরা জীবন রক্ষা করতে সবকিছু করব। ক্রমাগত হুমকির মুখে বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যপথে অবাধে বাণিজ্য বজায় রাখতে সবকিছু করব।’

এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আরও ১০ দেশ দক্ষিণ লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে আবারও হামলা চালালে পরিণতি ভোগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। গত মঙ্গলবার রাতে হুতিরা আবার হামলা চালায়। 

১৮টি ড্রোন ও ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ১৮ মাইল প্রশস্ত বাব এল-মান্দেব প্রণালি ও এর আশপাশে যুদ্ধজাহাজের একটি বহরকে লক্ষ্যবস্তু করে ছোড়া হয়। বাব এল-মান্দেবের ওই এলাকা লোহিত সাগরে হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সবচেয়ে কাছে। গাজায় হামাসের সমর্থনে গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝিতে সুয়েজ খালের দক্ষিণ অংশ দিয়ে যাতায়াত করা বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে হুতি বিদ্রোহীরা।

এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আরও ১০ দেশ দক্ষিণ লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে আবারও হামলা চালালে পরিণতি ভোগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। গত মঙ্গলবার রাতে হুতিরা আবার হামলা চালায়।

বোমারু বিমান এবং মিসায়েলের সাহায্যে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যও জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে তারাও এই পাল্টা আক্রমণে যোগ দিয়েছে।

দক্ষিণ ইয়েমেনের অধিকাংশ এলাকা এখন হুতি বিদ্রোহীদের দখলে। রাজধানী সানাও তাদের হাতে। অভিযোগ, ইরান এই বিদ্রোহীদের মদত দেয়। বস্তুত, আমেরিকা এবং যুক্তরাজ্য হুমকি দিয়ে রেখেছে, প্রয়োজন হলে ইরানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যৌথ হামলা চালানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজ যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণিজ্য পথ।

চলতি সপ্তাহেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১১-০ ভোটে পাশ হওয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে দ্রুত লোহিত সাগরে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। তবে এ প্রস্তাবে রাশিয়া, চীনের মতো দেশগুলি ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। আমেরিকা এবং যুক্তরাজ্যের যৌথ আক্রমণের পর ইরান এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি