এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১০:০১ পিএম
তাইওয়ানে শনিবার নির্বাচন
শনিবার দেশটির ১ কেটি ৯ লাখ ভোটার কেন্দ্র-বাম ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি), রক্ষণশীল কুওমিনতাং (কেএমটি) এবং তাইওয়ান পিপলস পার্টি (টিপিপি) মূল এই তিন দলের একটি থেকে নিজেদের নতুন প্রেসিডেন্টকে বেছে নেবে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পর থেকে মূলত দুটি রাজনৈতিক দল ডিপিপি ও কেএমটি প্রতি চার বছর পর জয়ী হয়ে আসছে। তবে দেশটিতে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও ধীর অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ক্ষমতাসীন দল ডিপিপির জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়ছে।
এদিকে তাইওয়ানের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
বার্তসংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে নাম অপ্রকাশিত এক তাইওয়ানের কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনে যেই জয়ী হোক, পরবর্তী সরকার প্রধানের ওপর বেইজিংয়ের সামরিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়তে পারে। অপরদিকে চীন এই নির্বাচনকে তাইওয়ানের জন্য ‘যুদ্ধ বা শান্তি’ যে কোনো একটিকে বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করেছে।
তাইওয়ানের বৃহত্তম বিরোধী দল কুওমিনতাং (কেএমটি) এর চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হো-উয়ি-ই চীনের সাথে অথনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে উৎসাহী এবং বৃহস্পতিবার তার দল জানায়, তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন দল ডিপিপি নির্বাচনে জয়ী হলে দেশের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। অপরদিকে ডিপিপির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লাই চিং-তে জানান, তিনি নির্বাচিত হলে দেশে শক্তির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখবেন। এমনকি সমতা ও মর্যাদার শর্তে বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখবেন।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি