ঢাকা, শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Logo
logo

রামলালার সোনার মুকুটের দাম ১১ কোটি রুপি


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৯:৪১ এএম

রামলালার সোনার মুকুটের দাম ১১ কোটি রুপি

 

সোমবার অযোধ্যার রামমন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হল রামলালার বিগ্রহের।  আনন্দবাজার জানায়, ৫১ ইঞ্চি উচ্চতার কৃষ্ণশিলা দিয়ে নির্মিত রামলালার বিগ্রহ ছিল আপাদমস্তক গয়নায় মোড়া। রামলালার মাথায় শোভা পাচ্ছিল সোনার মুকুট। বিশেষ ভাবে সকলের নজর কাড়ে এই মুকুটটি। 

রামলালার সোনার মুকুটের ওজন ছয় কিলোগ্রাম। ১১ কোটি রুপি খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এই মূর্তিটি। শুধুমাত্র সোনা নয়, রামলালার মুকুট তৈরি হয়েছে হিরে, পান্না, রুবি-সহ নানা বহুমূল্য রত্ন দিয়ে।

উত্তর ভারতীয় ধাঁচে তৈরি করা হয়েছে রামলালার মুকুট। এর ঠিক মাঝখানে শোভা পাচ্ছে সূর্যদেবের প্রতীক। লালরঙা রত্ন বসিয়ে তার শোভা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

রামলালার মুকুটের ডানদিক মুক্তোর ছোট মালার মতো সাজানো রয়েছে। প্রায় চার কিলোগ্রাম ওজনের সোনা ব্যবহৃত হয়েছে মুকুট নির্মাণে।  ছ’কিলোগ্রাম ওজনের মুকুটে বাকি দুই কিলোগ্রাম রয়েছে হিরে, চুনি, পান্না-সহ অন্যান্য সব রত্ন।

শুধু সোনার মুকুট নয়, তার পাশাপাশি রামলালার জন্য গয়নাও দান করেছেন মুকেশ। গুজরাতের ‘গ্রিনল্যাব ডায়মন্ড’ সংস্থার মালিক তিনি। রামলালার সোনার মুকুট যাতে নিখুঁত ভাবে তৈরি হয়, সে কারণে ৫ জানুয়ারি অযোধ্যায় তাঁর সংস্থার তরফে দু’জন কর্মীকে পাঠিয়েছিলেন মুকেশ। রামলালাকে ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর মুকুট এবং গয়না তৈরি করেছিল মুকেশের সংস্থা।

রামমন্দির উদ্বোধনের দিন স্ত্রী এবং পুত্রকে নিয়ে অযোধ্যায় গিয়েছিলেন মুকেশ। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যদের হাতে সোনার মুকুট তুলে দেন তিনি।

সোনার মুকুটের সঙ্গে মানানসই কুণ্ডল (দুল) রয়েছে রামলালার কানে। সোনার তৈরি দুলে বসানো রয়েছে হিরে, চুনি, পান্না। ময়ূরের নকশা ফোটানো হয়েছে তাতে।

প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন রামলালার পরনে ছিল হলুদ রঙের বেনারসি ধুতি। গায়ে ছিল লাল পট্টবস্ত্র। এই পট্টবস্ত্রে সোনার জরি দিয়ে কারুকাজ করা হয়েছে। শঙ্খ, চক্র, পদ্ম এবং ময়ূর ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পট্টবস্ত্রে। তৈরি করেছে দিল্লির একটি সংস্থা।

বিগ্রহের গলায় রয়েছে অর্ধচন্দ্রাকৃতি কণ্ঠহার। ফুলের নকশা রয়েছে তাতে। মাঝে সূর্য। অসংখ্য হিরে, চুনি, পান্না খোদাই করা রয়েছে। নীচে ঝুলছে পান্না।

বিগ্রহের যেখানে হৃদয়, সেখানে ঝুলছে কৌস্তুভ মণি। বড় চুনি এবং হিরে দিয়ে তৈরি। বলা হয়, বিষ্ণু এবং তাঁর অবতারেরা গলায় এই মণিহার পরেন।

গবেষণা করে গয়নার নকশা তৈরি করেছেন যতীন্দ্র মিশ্র। লখনউয়ের দু’টি দোকান থেকে বানানো হয়েছে সেগুলি।