এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
পশ্চিমা দেশগুলোর অনুদান বন্ধ, ত্রাণ কার্যক্রম সম্ভব হবে না জাতিসংঘ সংস্থার
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামাসের হামলায় সংস্থাটির কয়েকজন কর্মী জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েলের প্রধান মন্ত্রী নেতানিয়াহু। এরপর ত্রাণ সংস্থাটিকে সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ। ত্রাণ সংস্থাটির বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত এমন সময় নিল দেশগুলো, যখন গাজায় ত্রাণ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক ্আল-আকসা তুফান নামে অভিযান চালায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর যোদ্ধারা। হামাসের হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ পরিচালিত ত্রাণসহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ একের পর এক পশ্চিমা দেশ সংস্থাটিকে অনুদান দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ বলেছেন, গাজায় লড়াই বন্ধ হওয়ার পর ইউএনআরডব্লিউএর জায়গায় অন্য কোনো সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে হবে। ইসরায়েলের মন্ত্রীর এ ঘোষণার নিন্দা করেছে হামাস।
১৯৪৮ সালের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। ওই যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ত্রাণসহায়তা প্রদানে ইউএনআরডব্লিউএ গঠিত হয়। সংস্থাটি বর্তমানে গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকারী মূল সংগঠন। গাজায় এ সংস্থার ১৩ হাজারের মতো কর্মী রয়েছেন। সেখানকার ২৩ লাখ মানুষের দুই-তৃতীয়াংশকে ত্রাণসহায়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগের পর জাতিসংঘ দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, জড়িত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনকে তাৎক্ষণিক শনাক্ত করা হয়েছে এবং ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ্পে লাজ্জারিনি তাদের চাকরিচ্যুত করেছেন। একজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি দু’জনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
সংস্থাটির কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে গুতেরেস বলেন, গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা বেঁচে থাকার জন্য ইউএনআরডব্লিউএর গুরুপূর্ণ ত্রাণসহায়তার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সংস্থাটির বর্তমান তহবিল দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে তাদের সহযোগিতা দেওয়া পুরোপুরি সম্ভব হবে না।