ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

বারবার হামলা, বন্দুক কেনার আইন পালটাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মার্কিন নাগরিকদের


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১২ জুন, ২০২২, ০২:০৬ পিএম

বারবার হামলা, বন্দুক কেনার আইন পালটাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মার্কিন নাগরিকদের

বারবার হামলা, বন্দুক কেনার আইন পালটাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মার্কিন নাগরিকদের

গত কয়েকদিনে বারবার বন্দুকবাজদের হানায় আক্রান্ত হয়েছে আমেরিকা। এলোপাথাড়ি গুলির শিকার হয়েছেন নিরীহ মানুষ। এমনকী, স্কুলের ছোট্ট শিশুরাও রেহাই পায়নি বন্দুকবাজদের হাত থেকে। বারবার এই ধরনের হামলায় অধিকাংশ মার্কিন নাগরিকই আঙুল তুলছেন আমেরিকার বন্দুক নীতির দিকে। ১৮ বছর বয়স হলেই বন্দুক কিনতে পারেন সাধারণ মানুষ। সেই নিয়ম বদলের জন্য এবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে (USA Protest) শামিল হলেন মার্কিন নাগরিকরা। অবিলম্বে এই নিয়ম পালটে দিক সরকার, এই দাবিতে প্রায় হাজার মানুষ মিছিল করেছেন আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে।

আমেরিকার কলম্বিয়া প্রদেশের একটি শহরের মেয়র মুরিয়েল বাউজারও প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেয়। একটি সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেছেন, “যথেষ্ট হয়েছে। এবার নিয়ম বদলাতে হবে।” সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমি একজন মা, সেই সঙ্গে মেয়র। সকল আমেরিকাবাসীর কথা মাথায় রেখেই আমি বলছি, সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ করা। আমাদের রক্ষা করা মার্কিন সংসদের কর্তব্য। বন্দুকবাজদের (USA Gunman) হামলা থেকে শিশুদের বাঁচাতে হবে।”

এমনই আরও একজন প্রতিবাদী ডেভিড হগ। তিনি বলেছেন, “একটি স্কুলে ঢুকে ১৯ জন শিশুকে হত্যা করা হল, অথচ সরকার কিছুই করতে পারল না। তাই এমন সরকারের পরিবর্তন করা খুবই প্রয়োজন।” মিছিলে যোগ দেওয়া অধিকাংশেরই এক মত। তাঁরা চান রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা করুক সরকার। দরকার পড়লে কঠিন পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে । কিন্তু মানুষের প্রাণ বাঁচানোই সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

বারবার বন্দুকবাজদের হামলার ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বাইডেন সরকার। আইন বদলের দাবি উঠলেও এখনও এই প্রসঙ্গে কার্যত নীরব মার্কিন প্রেসিডেন্ট। টেক্সাসের স্কুলে হামলার পরে যদিও এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বন্দুক কেনার আইনে কড়াকড়ি করা হবে। কিন্তু ঘোষণাই সার। আইন বদলের (USA Gun Law) কোন উদ্যোগ নেয়নি আমেরিকার সংসদ। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন সাধারণ মানুষ।সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে