এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম
গরমের প্রভাবে সবজি বাজার চড়া, দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগিরও
তাপ প্রবাহের কারণে রাজধানীতে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন না। তীব্র গরমের এই প্রভাব বাজারগুলোতেও দেখা গেছে। বিশেষ করে বাজারে সবজি সরবরাহ কম। এতে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ব্রয়লার মুরগির সঙ্গে দাম বেড়েছে সোনালি মুরগির। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডিম। কেজিতে ৫ টাকা কমেছে আলুর দাম। শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টমেটো ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, উস্তা ও করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, শসা মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা, প্রতি হালি লেবু ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৩ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।
দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, চায়না আদা ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি, চায়না রসুন ২১০ থেকে ২২০ টাকা। ডিম ডজনে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সবজি সরবরাহের ক্ষেত্রে। চাষিদের ক্ষেতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। বারবার সেচ দেওয়ার কারণে সবজি উৎপাদনের খরচও বেড়েছে। যে কারণে গ্রামের মোকামে সবজির দাম বেশি। তবে বাজার তুলনামূলক ক্রেতাও কম।
ব্রয়লারের কেজি এলাকাভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩৩০ থেকে ৩৬০০ টাকা। আর ক্রেতা না থাকলেও গরুর মাংসের দাম কমেনি। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। এদিকে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ।
খিলক্ষেত বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোরের মালিক বশির উদ্দিন বলেন, মুদির পণ্যগুলো আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
খিলক্ষেতে বাজার করতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে সবজির দাম বাড়তি।