এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৬ জুন, ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
চাঁদের মাটি খুঁড়ে ‘বিশেষ’ নমুনা নিয়ে ফিরছে চ্যাং
চাঁদের যে প্রান্তে মহাকাশযানের অবতরণও কঠিন, সেখানকার মাটি খুঁড়ে পৃথিবীতে নমুনা নিয়ে আসছে চীনের চ্যাং-৬।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল চীন। গত ৩ মে চীনের দক্ষিণ প্রান্তের হাইনান প্রদেশ থেকে লং মার্চ ৫ নামক রকেটে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল চ্যাং-৬।
চন্দ্রযান চ্যাং-৬-এর লক্ষ্য ছিল চাঁদ থেকে মাটি এবং পাথর সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা। বিজ্ঞানীদের একাংশ ভেবেছিলেন চীনের চন্দ্রযান বোধ হয় চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতেই ব্যর্থ হবে।
চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (সিএনএসএ) তরফে জানা গিয়েছে, চাঁদের অন্ধকার প্রান্তের যে এলাকায় তুলনামূলক ভাবে গর্তের সংখ্যা বেশি, যে এলাকাটি খাদ এবং এবড়োখেবড়ো শিলায় পরিবেষ্টিত সেই এলাকায় অবতরণ করার পরিকল্পনা করেছিল চীন।
অনিশ্চয়তা দূর করে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে চ্যাং-৬। চাঁদের দূর প্রান্তে অ্যাপোলো গর্তের দক্ষিণাংশে পৌঁছেছে চন্দ্রযান। এই এলাকায় প্রাচীন সময়ের তথ্য এবং নিদর্শন পাওয়া যেতে পারে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।
জুন মাসের গোড়ায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে নামার পর বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে চাঁদের মাটি খুঁড়ে ফেলে চীনের চন্দ্রযান। সেই নমুনা আবার চন্দ্রযানের একটি বিশেষ অংশে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। সেই নমুনা নিয়ে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা হয়েছে চ্যাং-৬।
২৫ জুন নাগাদ চিনা মহাকাশযানের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা। এর আগে অন্য কোনও দেশ চাঁদের এই প্রান্ত থেকে মাটি, পাথর তুলে পৃথিবীতে আনতে পারেনি।
চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চ্যাং-৬-এর প্রাথমিক লক্ষ্য, চাঁদের মাটির অন্তত দুই মিটার গভীর থেকে দুই কিলোগ্রাম চন্দ্রপদার্থ (মাটি, পাথর, ধুলো) পৃথিবীতে নিয়ে আসা। সেই অভিযানে সফল হয়েছে চিন।
চাঁদের অন্ধকার প্রান্তে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সফল ভাবে মহাকাশযান নামাল চীন। চন্দ্রযানটি চাঁদের মাটির যে এলাকায় অবতরণ করে, সেখানে মহাকাশযানের চলাফেরায় বাধা ছিল অনেক বেশি। তবুও নমুনা সংগ্রহে সফল হয়েছে চিন।
জুন সেই দু’কেজি ওজনের চন্দ্রপদার্থ নিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে রওনা হয় চ্যাং-৬ চন্দ্রযান।
চীনের চন্দ্র অভিযানের সাহায্যেই প্রথম চন্দ্র উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এই অভিযান সফল হলে আগামী দিনে চ্যাং-৭ এবং চ্যাং-৮ অভিযান পরিকল্পনা করে রেখেছে চিন।
প্রতি ক্ষেত্রেই চীনের লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু, যা পৃথিবীর মানুষের কাছে তুলনামূলক অপরিচিত এবং সম্ভাবনাময়।
এর আগে ২০১৯ সালে চন্দ্র অভিযানে চীনের সাফল্য তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বিশ্বকে। চাঁদের দূরপ্রান্তে প্রথম মহাকাশযান পাঠিয়েছিল তারা। সেই অভিযানের নাম ছিল চ্যাং-৪। তার মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেরিয়েছে চীনের ল্যান্ডার এবং রোভার। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি