ঢাকা, সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ | ৯ পৌষ ১৪৩১
Logo
logo

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৮ জুন, ২০২৪, ০২:০৬ পিএম

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

 গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার এইটে উঠেছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা আফগানিস্তানকে ১০৪ রানে হারিয়েছে। এই জয়ের ফলে টানা চার জয় নিয়ে সুপার এইটে পৌঁছালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে গ্রুপ পর্বে এটা আফগানিস্তানের প্রথম হার। 

আগে ব্যাটিং করে  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে ২১৮ রান করে। নিকোলাস পুরানার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই সংগ্রহ। এবারের বিশ্বকাপে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রান। পুরান ৯৮ রান করেন। এবারের বিশ্বকাপে পুরানের রানও রেকর্ড। ২০২৪ সালের বিশ্বকাপে এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। জবাবে আফগানিস্তান ১১৪ রান করে।

টস জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আফগানিস্তান। শুরুতেই ব্রান্ডন কিংয়ের উইকেট নিয়ে তারা স্বস্তিতে ছিল। কিন্তু নিকোলাস পুরান উইকেট আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সে স্বস্তি উড়ে যায়। বিশেষ করে আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের করা ইনিংসে চতুর্থ ওভারটি অনেক দিন তারা মনে রাখবে। ওমরজাইয়ের এ ওভার থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহে ৩৬ রান জমা হয়। এ ওভারের পর ওমরজাইয়ের হাতে আর বল দিতে সাহস করেননি দলীয় অধিনায়ক।

শেষ পর্যন্ত নিকোলাস পুরান ৯৮ রানে রান আউট হয়ে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আফসোস বাড়িয়েছেন। ৫৩ বলে ৯৮ রান করেন ছয় বাউন্ডারির পাশাপাশি আটটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। পুরানের পাশাপাশি শাই হোপ ১৭ বলে ২৫ ও রভমান পাওয়েল ১৫ বলে ২৬ রান করেন।

বিশাল রানের চাপে পড়া আফগানিস্তান কখনো ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি। বরং শুরু থেকেই তাদের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে রহমানুল্লাহ গুরবাজ (০), গুলবাদিন নাইব (৭), নাজিবুল্লাহ জাদরান (০) ও মোহাম্মদ নবীর (১) দ্রুত আউট তাদের ওপর চাপ বাড়তেই থাকে। এর মাঝে ব্যতিক্রম ছিলেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। ২৮ ব লে ৩৮ রান করেন তিনি। এছাড়া আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ২৩ রান ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে এ রান মোটেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশাল রানের জবাব দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাঁচ বোলারই বল হাতে সাফল্য পেয়েছেন। ওবেদ ম্যাকয় ৩ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটো করে উইকেট পেয়েছেন আকিল হোসেন ও গুদাকেশ মোতি। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি