ঢাকা, সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Logo
logo

বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে সেমিতে আফগানিস্তান


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৫ জুন, ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম

বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে সেমিতে আফগানিস্তান

বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে সেমিতে আফগানিস্তান

একটা মাত্র ম্যাচ। ভাগ্য জড়িয়ে তিন দলের। পরতে পরতে জড়িয়ে উত্তেজনা। ক্ষণে ক্ষণে ম্যাচের দিক পরিবর্তন। কখনো আশায় বুক বেঁধেছে বাংলাদেশ, কখনো আফগানিস্তান আবার কখনো ম্যাচের বাইরে থাকা অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত যোগ্যতর দল হিসেবেই আফগানিস্তান পেয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালের টিকিট। ভারত, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আফগানিস্তান শেষ চারে পৌঁছেছে। ডিএলএস মেথডে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। 

প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান ৫ উইকেটে ১১৫ রান করেছিল। বারবার বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস মেথডে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৯ ওভারে ১১৪ রান। কিন্তু বাংলাদেশ ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে অল আউট হয়।

আগামী ২৭ জুন আফগানিস্তান প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে। একই দিন অন্য সেমিতে মুখোমুখি হবে ভারত ও ইংল্যান্ড।

বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৬ রানের। সেমিফাইনালে খেলতে বাংলাদেশকে এই রান ১২.১ ওভারে টপকাতে হতো। শুরুতেই ভালোভাবেই বাংলাদেশ এই লক্ষ্য পৌঁছানোর পথে ছিল। এক প্রান্তে অধিনায়ক লিটন দাস অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেছেন। তবে যোগ্য সহযোগী পাননি। যার ফলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া অবস্থায় থেকেও আফগানিস্তান জয় তুলে নিয়েছে। 

লিটন দাস ৪৯ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন। অন্য ব্যাটারদের অবস্থা কতটা নাজুক ছিল তা একটু দেখে নেওয়অ যাক। তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। আর সে রানটা মাত্র ১৪। আর একজন ব্যাটার ব্যক্তিগত রানকে দুই অংকে নিতে পেরেছেন। সৌম্য সরকার ১০ বলে ১০ রান করেছেন। অন্য আট ব্যাটারের চারজন রানের খাতা খুলতে পারেননি। বাকি চার ব্যাটারের মোট সংগ্রহ ১৬ রান।

আফগানিস্তান দুই বোলার রশিদ খান ও নাভিন উল হক বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেন। উভয়ে চারটি করে উইকেট পান। মূল্যবান এ জয়ে নুর আহমেদের অবদান কম নয়। উইকেট পাননি তবে ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১৩। 

এর আগে টস জিতে আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে। ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটার সুবিধা করতে পারেনি। ৪৩ রান করেন তিনি। সতীর্থ ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে নিয়ে প্রথম উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়েন। ১৮ রান করেন জাদরান। দ্বিতীয় উইকেটে আজমাতুল্লাহ ওমরজাইকে নিয়ে ২৫ রানের জুটি ছিল। ১০ রান করেছিলেন ওমরজাই।

এরপর আর কোনো ব্যাটার দাঁড়াতে পারেননি। ক্রিজে এসেছেন আর ফিরেছেন। তবে রশিদ খান অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। মাত্র ১০ বলে তিন ওভার বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন। শেষ পর্যন্ত এই রানটা বাংলাদেশের জন্য কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি