এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল, ২০২২, ০৬:০৪ পিএম
বিজেপি গুণ্ডাদের সম্মানিত করেছে! দিল্লির হিংসা নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা আপের
দিল্লির (delhi) জাহাঙ্গীরপুরীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের (clash) জন্য বিজেপিকে নিশানা করল সেখানকার শাসক আপ (aap)। গুণ্ডাদের মদত দেওয়ার পাশাপাশি সংঘর্য সংগঠিত করার অভিযোগও তারা এনেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
১৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তীতে দিল্লিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। যা নিয়ে দিল্লি বিজেপির প্রধান অধেশ গুপ্তা রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশীদের দিল্লিতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন আপের বিরুদ্ধে। সেই কারণে সংঘর্ষ বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে পাল্টা বিজেপিকে নিশানা করেছে আপ। আপের তরফ থেকে বিজেপিকে এমন সময়ে আক্রমণ করা হল, যার কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে হামলা হয়। সেই হামলাকারীদের বিজেপি অভিনন্দন জানিয়েছে।
আপের তরফে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, শনিবারের ঘটনা থেকে পরিষ্কার এই হিংসার পিছনে রয়েছে বিজেপি। দিল্লি বিজেপির প্রধান অধেশ গুপ্তা নিজে হামলার জেরে গ্রেফতার হওয়া আটজনকে সম্মানিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছে আপ। যখন বিজেপির পদাধিকারী নিজেই এই ধরনের গুণ্ডাদের সম্মানিত করছেন, তা থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়, হিংসার এক পাশে কারা রয়েছে।
অন্যদিকে বিজেপির তরফে বিধায়ক বিজেন্দর গুপ্তা বলেছেন, বাংলাদেশী শরণার্থীদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও জল দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
শনিবার রাতে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর মিছিল নিয়ে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় আট পুলিশকর্মী এবং এক সাধারণ নাগরিক আহত হন। এই ঘটনায় দুই নাবালক-সহ এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে ভুয়ো খবরের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় শান্তি বজায় রাখতে সতর্কতামূলক টহল দিচ্ছে পুলিশ।
আপের তরফে বলা হয়েছে, তারাও হনুমানের জন্মোৎসব পালন করেছে শোভাযাত্রার মাধ্যমে। তারা গ্রেটার কৈলাশে তারা অনুষ্ঠানও করে। এছাড়াও দিল্লির সরপকার গোলে মার্কেট এলাকায় অনুষ্ঠান করে। আপের অনুষ্ঠানে কেন হিংসার ঘটনা ঘটল না, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। আর বিজেপি অনুষ্ঠানেই কেন হিংসার ঘটনা, তা নিয়েও প্রশ্ন করেছে আপ। এরপরেও আক্রমণ তীব্র করে আপ বলেছে, এর থেকেই পরিষ্কার বিজেপির গুণ্ডারা হিংসার পিছনে রয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকলেও, পুলিশি টহল চলছে। যে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই প্রধান অভিযুক্ত আনসার এবং আসলাম এই মুহূর্তে পুলিশি হেফাজতে। ১২ জনকে পাঠানো হয়েছে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। অন্যদিকে জাহাঙ্গীরপুরীর হিংসার ঘটনা তদন্তের জন্য ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে হিংসার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত।