ঢাকা, শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Logo
logo

'আমি নিজে গাড়ি করে নিয়ে যাব ডম্বুর দেখাতে',নাহিদ ইসলামের অভিযোগ নাকচ ত্রিপুরার মন্ত্রীর


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৩ আগস্ট, ২০২৪, ০৫:০৮ পিএম

'আমি নিজে গাড়ি করে নিয়ে যাব ডম্বুর দেখাতে',নাহিদ ইসলামের অভিযোগ নাকচ ত্রিপুরার মন্ত্রীর

 

বাঁধ খুলে দেওয়ার মাধ্যমে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে এবং বাংলাদেশের সাথে অসহযোগিতা করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের এমন অভিযোগের বিষয়ে ত্রিপুরার বিদ্যুৎ দফতরের মন্ত্রী রতন লাল নাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা নাকচ করে দিয়েছেন।

মি. নাথ বলেন, “তারা যেটা বলছেন যে আমরা ডম্বুরের গেট খুলে দিয়েছি, সেটা যে সঠিক তথ্য নয়, তা দেখার জন্য তারা যদি নিয়ম অনুযায়ী সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় আসেন, আমি নিজে গাড়ি করে তাদের নিয়ে যাব ডম্বুর দেখাতে। তারা নিজেরা দেখতে পারেন যে আমরা নিজের থেকে গেট খুলে দিতে পারি কি না! সেটা সম্ভব কি না!”

তিনি বলেন, “আমরা যদি অমানবিক হতাম, তাহলে অনেক আগেই সেটা হতে পারতাম –বিদ্যুৎ দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে, কারণ বিদ্যুৎ বাবদ প্রায় ১৮০ কোটি ভারতীয় টাকা তাদের কাছে আমাদের বকেয়া আছে। তাও নিয়মিত ৫০-৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা সরবরাহ করে যাচ্ছি। অথচ আমাদের নিজেদের রাজ্যের বহু জায়গায় বিদ্যুৎ নেই এখন।” সূত্র: বিবিসি বাংলা

এর আগে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি উজানের পানি বাংলাদেশে ধেয়ে এসে এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। কোনো ধরনের আগাম সতর্কতা এবং প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ না দিয়েই বাঁধ খুলে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে এবং অসহযোগিতা করছে।

তিনি বলেন, আমরা আহ্বান করব, আমরা আশা করব, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারত বাংলাদেশের জনগণবিরোধী এ ধরনের নীতি থেকে সরে আসবে।

দুর্যোগ থেকে দুই দেশকে তাদের জনগণকে রক্ষায় একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা কীভাবে একত্রে বাংলাদেশের জনগণ ভারতের জনগণকে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে পারি, সে বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের করতে হবে।

দুই দেশের সুসম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে এ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও জনগণ ভারতের নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন দিন ধরে পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করছে, কথা বলে আসছে। আমরা আশা করব, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মধ্যে কোনো টানাপোড়েন যেন না রাখা হয়। ন্যায্যতার ভিত্তিতে যেন বাংলাদেশ-ভারত রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক প্রতিস্থাপন করা হয়।