ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪ | ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Logo
logo

সমগ্র বাংলাদেশ একটা পরিবার, নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব : প্রধান উপদেষ্টা


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৬ আগস্ট, ২০২৪, ১০:০৮ পিএম

সমগ্র বাংলাদেশ একটা পরিবার, নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব : প্রধান উপদেষ্টা

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সমগ্র বাংলাদেশ একটা পরিবারের মত। যেখানে সরকারের দায়িত্ব হলো প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া। 

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে নির্ভয়ে সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবেন। যেখানে কোনো মন্দির পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। আমাদের দায়িত্ব হলো প্রতিটি নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। 

শুভেচ্ছা বিনিময়কালে হিন্দু নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের কাজল দেবনাথ ও মনীন্দ্র কুমার নাথ, আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনা সংঘ ইসকনের চারু চরণ ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বাসুদেব ধর ও সন্তোষ শর্মা এবং ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্নধার প্রীতি চক্রবর্তী। জনাষ্টমী হলো সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন বা জন্ম তিথি।

হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে হিন্দু নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা বাংলাদেশে শান্তি-সম্প্রীতি ও এর সমৃদ্ধি এবং আন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য কামনা করে শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি।দেশের বন্যা পরিস্থিতির কারণে দুর্গত এলাকাগুলোতে এবার জন্মাষ্টমী উদযাপন স্থগিত করে সেখানে খাদ্য ও ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বক্তব্য দেশে আসম্প্রদায়িক সমাজ গঠন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ভূমিকা করবে। হিন্দু মন্দিরের জমিসহ হিন্দু জমি সম্পত্তি দখল হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তারা।