ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে লেবাননে এবার নিহত ১৪, আহত ৪৫০


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:০৯ পিএম

ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে লেবাননে এবার নিহত ১৪, আহত ৪৫০

 

লেবাননে ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের সিদন শহরে একটি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। সেই ধোঁয়ার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।

এর আগে লেবাননে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের কাছে থাকা পেজার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং আহত হন প্রায় ৩ হাজার জন।

ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।

লেবানিজ রেডক্রসকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলছে, লেবাননের একাধিক স্থানে ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণ হয়েছে। এসব ঘটনায় অন্তত ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে।  

এ ঘটনার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের অধিবেশন ডাকা হয়েছে।  

বিবিসি বলছে, দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণের পর হিজবুল্লাহর শক্ত অবস্থান থাকা দাহিয়া এবং বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ওই এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনসহ যোগাযোগের যন্ত্র থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, লেবাননে কয়েক হাজার পেজারে বিস্ফোরণের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহত ও প্রায় ৩ হাজার জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণ শুরু হয়ে পরবর্তী প্রায় ১ ঘণ্টা সময় ধরে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ডিভাইসগুলো বিস্ফোরিত হতে থাকে।  

আল জাজিরা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর সদস্য, মেডিকেল কর্মী এবং ইরানের রাষ্ট্রদূত রয়েছেন। এই বিস্ফোরণ হয়েছে লেবাবননজুড়ে, বিশেষত দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লাহ ঘাঁটিগুলোতে।

নিহতদের মধ্যে আট বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে।  হিজবুল্লাহ এমপি আলী আম্মারের ছেলে মোহাম্মদ মাহদি আম্মারও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানিও বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন।  

এই বিস্ফোরণের জন্য সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলি শত্রুদের দায়ী করেছে হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, বিস্ফোরণে আমাদের আট যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েল অবশ্যই এই পাপপূর্ণ আগ্রাসনের জন্য তার ন্যায্য শাস্তি পাবে।