ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫ | ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১
Logo
logo

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানে হারিয়ে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানে হারিয়ে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

 দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানে হারিয়ে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। টানা দুই জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে হাশমতউল্লাহ শহীদির দল। আগে ব্যাট করে রহমানউল্লাহ গুরবাজের সেঞ্চুরি, রহমত শাহদের ব্যাটে বড় সংগ্রহের ভিত্তি পায় আফগানরা। শেষদিকে ওমরজাইয়ের ঝড়ো ফিফটিতে ৩১১ রানের পুঁজি পায় আফগানিস্তান। লক্ষ্য তাড়ায় আফগান স্পিনারদের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ১৩৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা।

শারজায় টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও রিয়াজ হাসান ভালো শুরু এনে দেন দলকে। ওপেনিং জুটিতে ৮৮ রান তোলেন তারা। ব্যক্তিগত ২৯ রানে রিয়াজকে ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের ব্রেকথ্রু এনে দেন এইডেন মারক্রাম। ফিফটি তুলে এগোতে থাকেন গুরবাজ।

দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়ার পথে নিজের ক্যারিয়ারের সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়ে যান আফগান ওপেনার। ১০৭ বলে সেঞ্চুরি করে ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার বনে যান তিনি, পেছনে ফেলেন মোহাম্মদ শাহজাদকে। ১১০ বলে ১০ চার ও তিনটি ছক্কায় ১০৫ রান করে নান্দ্রে বার্গারের বলে বোল্ড হন গুরবাজ। এর পরপরই ফিরে যান রহমত শাহ। ৬৬ বলে দুইটি চারে ৫০ রান করেন তিনি।

এখান থেকে ঝড় তোলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। নবীকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৫৫ রানের জুটি যেখানে নবীর ভূমিকা যেন শুধুই দর্শকের। ব্যক্তিগত ১৩ রানে এনগিডির শিকার হয়ে নবী ফিরলেও রশিদকে সাথে নিয়ে শেষ চার ওভারে ৪০ রান তুলে আফগানদের সংগ্রহকে ৩০০ ছাড়ান ওমরজাই। ১২ বলে ৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন রশিদ খান। ৫০ বলে পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। আফগানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩১১ রান।

জবাব দিতে নেমে প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে শুরু করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং করছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে বাভুমাকে ফিরিয়ে ৭৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ওমরজাই। এরপর টনি ডি জর্জিকে ফেরান রশিদ খান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। রশিদের সাথে উইকেট শিকারে যোগ দেন নাঙ্গেলিয়া খারোটে৷ রিজা হেনড্রিকসকে অল্পতেই ফেরান এই বাহাঁতি স্পিনার। এই দুই স্পিনারের বোলিংয়ের সামনে খেই হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা।

ব্যক্তিগত ২১ রানে মারক্রামকে রশিদ ফেরানোর পর যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। দুই অঙ্কের দেখা পাননি আর কোন ব্যাটার৷ একে একে ফিরে গেছেন ত্রিস্টান স্টাবস, কাইল ভেরেইনা, উইয়ান মুল্ডাররা। শেষ ব্যাটার হিসেবে এনগিডি খারোটের বলে বোল্ড হলে মাত্র ৩৪.২ ওভারে ১৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নয় ওভারে একটি মেডেনসহ মাত্র ১৯ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেন আফগান তারকা রশিদ খান। চার উইকেট শিকার করেন নাঙ্গেলিয়া খারোটে।

এই ম্যাচে ১৭৭ রানের জয় আফগানদের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের হিসেবে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে এই পরাজয় দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার। জন্মদিনে পাঁচ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন রশিদ খান।

প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে দেওয়র পর দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল আফগানরা। টানা দুই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। রোববার (২২ সেপ্টম্বর) সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।