এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল, ২০২২, ০৭:০৪ পিএম
'ত্যাজ্যপুত্র মন্তব্যে' বাড়ল অস্বস্তি! কুণালের মামলায় শুভেন্দুকে হাজিরার নির্দেশ
কুণাল ঘোষের দায়ের করা মামলায় চাপ বাড়ল বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দু অধিকারীর 'ত্যাজ্যপুত্র মন্তব্যে' মানহানি হয়েছে। আর এরপরেই আদালতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। আর সেই মামলায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।
আজ সোমবার ১৯ নম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিরোধী দলনেতাকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২০ মে শুভেন্দুকে কুণালের দায়ের করা মানহানির মামলায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে নিঃসন্দেহে এই নির্দেশ বিরোধী দলনেতার অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কুণাল এবং শুভেন্দু অধিকারীর কার্যত সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। একাধিক ইস্যুতে বিরোধী দলনেতাকে বারবার তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ। এমনকি নারদা মামলায় এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও কেন শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ।
এমনকি সুদীপ্ত সেনের একটি চিঠি তুলেও বিরোধী দলনেতাকে লাগাতার আক্রমণ শানান তিনি। তবে এর মধ্যে সেই কুণাল ঘোষের দায়ের করা মামলাতেই এবার শুভেন্দু অধিকারীকে তলব। কিন্তু মামলাটি কি? ঘটনার সূত্রপাত পুরসভা নির্বাচনের সময় শুভেন্দু অধিকারীর করা একটি বক্তব্যকে ঘিরে। পুরসভা ভোটকে কেন্দ্র করে কুণাল-শুভেন্দু দুজন দুজনের বিরুদ্ধে তোপ পালটা তোপ দেগেছিলেন।
আর তেমনই কাঁথিতে ভোট প্রচারে গিয়ে অধিকারী পরিবারকে তীব্র আক্রমণ জানান কুণাল ঘোষ। আর এমনকি শুভেন্দুর অধিকারীর নাম নিয়েও আক্রমণ শানান। পালটা এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে পালটা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন বিরোধী দলনেতা। নাম না করে কুণালকে 'বাপের ত্যাজ্যপুত্র' বলেও কটাক্ষ করেন প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতা।
আর তাতেই চটেন কুণাল। এরপরেই শুভেন্দুকে মানহানির নোটিশ পাঠান। এমনকি তাঁর এহেন মন্তব্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্যেও বলা হয়। কিন্তু কুণালের এহেন 'হুঁশিয়ারি'তে পালটা কোনও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। আর এরপরেই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়।
আজ সোমবার ১৯ নম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষও। আর সেখানেই আগামী ২০মে তারিখে শুভেন্দুকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা দায়ের করেছেন সৌমেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম দিবসে বিরোধী দলনেতাকে গদ্দার, বেইমান মীরজাফর বলে তোপ দাগেন কুণাল। আর এরপরেই কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিরোধী দলনেতার ভাই।