ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

৩ বছর ৮ মাস পর নিজ দেশে টেস্ট জিতলো পাকিস্তান


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:১০ পিএম

৩ বছর ৮ মাস পর নিজ দেশে টেস্ট জিতলো পাকিস্তান


প্রথমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হার। তারপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হার। সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে হারের বৃত্তেই দোল খাচ্ছিলো পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্য ভাগ্য বদলাতে পারল শান মাসুদের দল। নোমান আলীর অসাধারণ বোলিংয়ে সফরকারীদের ১৫২ রানের বড় ব্যবধানে হারাল পাকিস্তান।

পাকিস্তান শেষবার টেস্ট জিতেছিল ৪৫০ দিন আগে। প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ ইনিংসে ২৯৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ম্যাচ জিততে শেষ দুই দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২৬১ রান। বিপরীতে পাকিস্তানের দরকার ছিল ইংল্যান্ডের ৮ উইকেট।

দুই উইকেটে ৩৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা দলটি এদিন দ্বিতীয় ওভারেই হারিয়েছে অলি পোপের উইকেট। ৩৮ বলে ২২ রান করা পোপকে কট এন্ড বোল্ড করে ফেরান সাজিদ খান। দলীয় ১৬ ওভারের মধ্যে জো রুটকেও বিদায় করেন নোমান।

৩৪ বলে ১৮ রান করা রুটকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন নোমান। কয়েক ওভার পর ঠিক একইভাবে হ্যারি ব্রুককে ফেরান নোমান। আগের টেস্ট তিনশ করা ব্রুক এ দিন ২১ বলে ১৬ রান করে ফেরেন।

১০ বলে ছয় রান করা জেমি স্মিথকেও টিকতে দেননি নোমান। এরপর অবশ্য পাকিস্তানের দুশ্চিন্তা বাড়ান বেন স্টোকস এবং ব্রাইডন কার্স। দুজনের জুটিতে চিন্তায় পড়ে স্বাগতিকরা। তবে ৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেননি তারা।
নোমানকে মিড উইকেটে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে বিদায় নেন স্টোকস। ৩৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর উইকেট হারাতে হারাতে ১৪৪ রানে গুঁটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। এ দিন একাই সাত উইকেট নেন নোমান। আর এই ইনিংসে মাত্র ৪৬ রান খরচায় আট উইকেট নেন তিনি।

এই টেস্টে বাবর আজমের বদলে দলে আসেন কামরান ঘুলাম। অভিষেক টেস্টেই শতরান করেন তিনি। ফলে ৩৬৬ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড শেষ হয়ে যায় ২৯১ রানে। দলটির হয়ে ওপেনার বেন ডাকেট করেন ১১৪ রান।

বাকি ব্যাটাররা তেমন রান পাননি। পাকিস্তানের হয়ে অফ স্পিনার সাজিদ খান তুলে নেন ৭ উইকেট। নোমান নেন বাকি তিন উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১ রান করে পাকিস্তান। সালমান আঘা করেন ৬৩ রান। এই ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে বিশ উইকেট নেন স্পিনাররা। নোমান নেন ১১টি, সাজিদ নেন নয়টি।