ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ২, ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Logo
logo

‘ভাড়াটে’ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছে আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারণা চক্র


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:১০ পিএম

‘ভাড়াটে’ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছে আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারণা চক্র


গরিব মানুষের অভাবকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে সাইবার অপরাধীরা ! অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে চালানো হচ্ছিল আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্র৷ আর এই আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের মাথা বসে রয়েছেন নেপালে। সম্প্রতি এমনই ঘটনা উঠে এসেছে ।

অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি, জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের গ্রামীণ এলাকার গরিব মানুষদের প্রতারণা চক্র চালানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে প্রতারকরা। ব্যারাকপুর ও শিলিগুড়ি কমিশনারেটের তদন্তকারীদের মতে, গরিব মানুষের অভাবের সুযোগ নিয়ে, কিছু টাকার বিনিময় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলানো হচ্ছে। এরপর সেই অ্যাকাউন্টের তথ্য নিজেদের কাছে রেখে দিচ্ছে প্রতারকরা।

এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার বাজারের গ্রুপ খুলে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে সাইবার অপরাধীরা। এছাড়াও গুজরাত পুলিশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ সম্প্রতি দেশের একাধিক প্রান্তে হানা দিয়েছিল। সেই অভিযান চলাকালীনও  এই তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। মূলত সাইবার অপরাধের জন্যই এই ধরনের বেআইনি লেনদেন মাধ্যমগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অনলাইন প্রতারণার জগতে ভাড়া নেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চল নতুন কিছু নয়। সাধারণত পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থার নজর এড়াতে প্রতারণা চক্রের মাথারা এই ধরনের ভাড়া নেওয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। সাধারণ মানুষের থেকেই ভাড়া নেওয়া হয় অ্যাকাউন্টগুলি।  ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত লেনদেন চালায় জালিয়াতেরা। পরিবর্তে প্রকৃত মালিককে নির্দিষ্ট কিছু পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়।

ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের তথ্য অনুসারে, প্রতিদিন প্রায় চার হাজারের আশপাশে এই ধরনের ভাড়া নেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করছে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেই ভাড়া নেওয়ার জন্য অ্যাকাউন্টগুলি খোঁজে প্রতারকেরা। মূলত ব্যবহার হয় টেলিগ্রাম এবং ফেসবুক। কখনও ভুতুড়ে সংস্থা আবার কখনও কোনও ব্যক্তির নামে থাকা এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি সাধারণত বিদেশ থেকে পরিচালিত হয়। প্রতারণার কাজে ব্যবহারের জন্য এগুলিকেই আগে পছন্দ করে সাইবার জালিয়াতেরা। আর তাই ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ ঘিরে উদ্বেগের মাঝেই এ বার আরও এক সাইবার জালিয়াতি নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করল ভারত সরকার।